প্রকাশিত : ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ২২:৪৫

শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত নন্দীগ্রামের কারিগররা

নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধি:
শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত নন্দীগ্রামের কারিগররা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে শীতের প্রকোপ বাড়াতে লেপ-তোষকের চাহিদা বাড়ছে। সেদিকটা লক্ষ্য রেখে লেপ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বেডিং দোকান মালিক-শ্রমিকরা। হেমন্ত ও শীতকালে প্রচন্ড শীতের প্রকোপ দেখা দেয়। যাকে বলা হয়ে থাকে হাড়কাঁপানো শীত। এ শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় লেপ-তোষকের। লেপ-তোষক না থাকলে শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া অনেকটা কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ শীতে কাতর হয়ে পড়ে। হিমালয় পর্বত উত্তরাঞ্চলের অনেকটা নিকটবর্তী হবার কারণে এ অঞ্চলে শীতের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এ অঞ্চলের মানুষের শীতকালে লেপ-তোষকের অতি প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেজন্য সবাই লেপ-তোষক তেরী করে নিতে বা ক্রয় করতে ছুটে চলে আসে বেডিং দোকানে। শিমুল তুলার লেপ-তোষক ও বালিশের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে। এ কারণে শিমুল তুলার মূল্য অনেকটা বেশি। শিমুল তুলা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। কাবাস তুলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হয়। বর্তমানে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে লেপ পাওয়া যাচ্ছে। নন্দীগ্রাম বাজারের কয়েকজন লেপ-তোষক তৈরীর কারিগররা বলেন, এখন অনেকটা শীত পড়েছে। তাই লেপ-তোষক তৈরীর অনেক অর্ডার আসছে। অনেকেই পছন্দের লেপ-তোষক তৈরী ও ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরী করে দিচ্ছি। এবার ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে ভালো লেপ তৈরী করে দিচ্ছি এবং বিক্রি করছি। শ্রমিক আরাফাত ইসলাম ও আবু নাঈম জানান, আমরা ১০,০০০ টাকা মাসিক বেতনে কাজ করছি। এখন আমরা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। লেপ তৈরী করতে আসা ফোকপাল গ্রামের সোহেল রানা জানান, এখন খুব শীত নামতে শুরু করেছে। তাই শীতের প্রকোপ হতে রক্ষা পেতে একটি লেপ বানিয়ে নিচ্ছি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে