বগুড়ায় নানা আয়োজনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত
বগুড়ায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস। ‘মাটি ও পানি জীবনের উৎস’ স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসন ও মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয় বগুড়ার আয়োজনে দিবসটিতে মঙ্গলবার সকালে এক বর্ণাঢ্য র্যালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালী পরবর্তী দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আল মারুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কার্যালয়, বগুড়ার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌফিকা তাহেরী।
এছাড়াও দিবসটির তাৎপর্য এবং মাটি ও পানির গুরুত্ব তুলে ধরে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায়, সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: শহিদুল আলম, দৈনিক করতোয়ার বার্তা সম্পাদক প্রদীপ ভট্টাচার্য্য প্রমুখ। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস মাটির স্বাস্থ্যের গুরুত্ব এবং এই অত্যাবশ্যক সম্পদ রক্ষা ও পরিচালনার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে। পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব ও বিকাশ মাটি ও পানির নিবিড় সম্পর্কের উপর নির্ভরশীল। কারণ, আমাদের জীবন দায়ী খাদ্যের ৯৫ শতাংশের বেশি এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলো থেকে আসে। যেকোন জমিতে ভাল ফলনের প্রত্যাশা করলে পূর্বেই যদি মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করে নেয়া যায় তাহলে তা কৃষকের জন্যে উপকার হয়। শুধু তাই নয় বর্তমান সময়ে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে মাটির উর্বরতা কমে যাচ্ছে যা একটি সময় জীবন ও প্রকৃতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে যা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তাই রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে অনুষ্ঠানে মাটির গুণাগুণ রক্ষায় জৈব সার ব্যবহারের প্রতিও গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
পরিশেষে কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখায় বগুড়া সদর উপজেলার ফাঁপোর ইউনিয়নের ‘মাটির ডাক্তার’ খ্যাত কৃষক গোলাম রব্বানী মানিককে ‘সয়েল কেয়ার এওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়। দিবসটি উদযাপন অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের প্রধানগণ, বিভিন্ন এলাকার কৃষকসহ নানা শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন