বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি সংক্রান্ত জেরে আগাছানাশক ছিটিয়ে ইউকেলিপ্টাস ও সরিষা গাছ পুড়িয়া ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।

বগুড়ার শাজাহানপুরে জমি সংক্রান্ত পূর্ব শত্রতার জেরে আগাছানাশক ছিটিয়ে ১ একর ১১ শতক জমির সরিষা পুড়িয়ে বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানা সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।
অভিযোগে যানা জায় শেরপুর উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম,পিতা-মৃত মনির উদ্দিন,মোঃ আলামিন পিতা-মৃত সইমুদ্দিন গং সাং- ভদ্রপাড়া ,থানা শেরপুর জেলা-বগুড়া এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে।
বাদী ইছাহাক আলী মিন্টু পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত হইয়া শাজাহানপুর থানার অর্ন্তগত মৌজা-জামুন্না,জেএল নং২৩২,খতিয়ান নং ১৪৩৬, হাল দাগ-২৩৫৮,১০৭২,২৩৫৯,১০৭১,১০৬৭,জমির পরিমান ১ একর ১১শতক ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে।
এবিষয়ে বগুড়া আদালতে মামলা চলমান থাকলেও রফিকুল ইসলামের পক্ষে১০/১২জন দূস্কৃতকারীরা ইছাহাক আলীর পরিবারের বিভিন্ন সময় নানা ভাভে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছে।এর প্রতিবাদ করলে তারা নানা ভাবে ভয়ভিতি ও হুমকী প্রদান করে।
গত ১মাস পূর্বে ২৪ শে নভেম্বর রাত অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় তারা বাদীর জমিতে ১লক্ষ টাকা খরচ করে লাগানো ৬০০শত ইউকেলিপ্টাস গাছ ও সরিষার গাছ আগাছানাশক ছিটিয়ে নষ্ট করিয়ে ক্ষতিসাধন করে।
বায়না সুত্রে জমির মালিক সবুজ বলেন প্রকৃত জমির মালিক মারা যাওয়ার আমি তার ছেলেদের নিকট খেকে বায়না কের নেই। সেই মোতাবেক জমিটি বর্গা দেওয়া ছিল,সেই সুত্র ধরে বিবাদীরা সত্রতা করে বর্গাদারের ফসল নষ্ট করে।
স্থানীয় জনগন বলেন কৃষকের আবাদ নষ্ট করা খুবিই অন্যায় কাজ ,যারা ক্ষতি করেছে তাদের বিচার হওয়া দরকার।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছে বিবাদী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন ঘটনা আমি কিছুই জানিনা,জমি এগ্রিমেনট দিয়েছি সেখানে আমি কোন দিন দেখতে যাইনি,তারা যেটা আমার বিরুদ্ধে বলছে সব মিথ্যা ।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত চলছে। সত্যতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন