প্রকাশিত : ২ জানুয়ারী, ২০২৪ ২১:৪৫

বগুড়ার কাহালুতে ৩ ফসলী জমি খনন ও ভরাটের মহোৎসব

অনলাইন ডেস্ক
    বগুড়ার কাহালুতে ৩ ফসলী জমি খনন 
                                ও ভরাটের মহোৎসব

কাহালুতে  একটি প্রভাশালী চক্র ৩ ফসলী জমিতে পুকুর খনন ও ভরাট ব্যবসা করে রাতা-রাতি আঙ্গুল কলা গাছ না রিতিমত বট বৃক্ষে পরিনত হয়ে উঠছে।ফলে জ্যামিতিক হার হ্রাস পাচ্ছে ফসলি জমি।পাশা-পাশী নষ্ট হচ্ছে কাঁচা-পাকা গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট,সড়ক-মহাসড়ক ও ব্রীজ কালভাট। স্থানীয় প্রশাসন তৎপর হলেও বন্ধ করতে পাছেনা জমি খনন ও ভরাটের মহোৎসব।
          শীত মৌসুমের শুরুতেই কাহালু উপজেলার প্রায় অর্ধশত প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী সক্রিয়। তারা  ভেকু ও এস্কেভেটর মেশিন, মাটি পরিবহনের ট্রাক ও ট্রাক্টোর ভাড়া করে  গ্রামের সহজ-সরল সাধারণ কৃষকদের প্রলোভন দিয়ে চুক্তি ভিত্তিক ৩ ফসলি জমিতে পুকুর খনন শুরু করেন। আড়াই থেকে ৩ ফিট মাটি খনন শেষে মাটি ব্যবসায়ীরা লাভ হচ্ছেনা বলে মাটি কাটা বন্ধ করে রাখে।এক পর্যায় তারা পুকুর মালিককে মাটি বিক্রয়ের প্রস্তাব দেন তখন বাধ্য হয়ে জমির মালিকরা প্রস্তাবে রাজি হলে ব্যবসায়ীরা মাটি গুলো  ইট ভাটাসহ বিভিন্ন কল-কারখানা ও স্থাপনা নির্মাণের ভরাট কাজে উচ্চ মূল্যে বিক্রয় করে ঐ ব্যবসায়ীরা। ফলে জ্যামিতিক হার প্রতি বছর হ্রাস পাচ্ছে ৩ ফসলি জমি। এদিকে মাটি বিক্রয়ের অবৈধ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতা-রাতি আঙ্গুল ফলে বট বৃক্ষে পরিণত হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত ৩ শুস্ক মৌসুমে উপজেলার প্রায় আড়াই শ’ হেক্টোর ফসলি জমিতে পুকুর খনন ও ভরাট করা হয়েছে। 
        উপজেলার ,পাইকড় ইউনিয়নের,পাইকড়, যোগীর ভবন, খিয়ার ভুগইল, পশ্চিম ভূগইল,বরঙ্গাশনী, কালাই ইউনিয়নের শুকান গাড়ী,পাঁচগ্রাম,পিলকুঞ্জ,থিয়োট পাড়া, নারহট্ট ইউনিয়নের ,নারহট্ট,কল্যাণপুর, নিশ্চিন্তপুর,বানিয়াদিঘী,ভোলতা সহ উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত পয়েন্টে খনন কাজ চলমান। রাতের আধারে মাটিগুলো ইট ভাটা,কল-কারখানাসহ বিভিন্ন ভরাট কাজে ট্রাক ও ট্রাকক্টোর দিয়ে দুর দুরান্তে পরিবহন করতে গিয়ে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তা ও রাস্তার ছোট-বড় ব্রীজ কালভাট ভেঙ্গে এমন কি সড়ক মহাসড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সরকারের কোটি কোটি টাকা বিনষ্ট হলেও ঐ সব প্রভাবশালী  অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেহ মূখ খুলতে সাহস পাচ্ছেননা।
         ইতিমধ্যে কাহালু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেরিনা আফরোজ ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আবু মুছা একাধিক বার  ঐ সব অবৈধ পুকুর খনন কারী ও মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিয়ান পরিচালনাসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা আদায় করলেও খনন ও ভরাট কাজ বন্ধ করতে পাচ্ছেন না। কাহালু যেন চলছে ফসলি জমি খনন ও ভরাটের মহোৎসব। তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে অবৈধ পুকুর খনন কারী ও মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহৃত রাখার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন নিশ্চিত করেন। 

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন