রোদহীন দিনভর, কনকনে শীতে কাঁপছে রাণীনগর

পৌষের শেষ দিকে এসে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় বেড়েছে শীতের দাপট। কুয়াশার সঙ্গে যোগ হয়েছে হিমেল বাতাস। এতে করে নামছে কনকনে শীত। শুক্রবার রোদহীন দিনভরে শীত দুর্ভোগে বিপর্যস্ত এই জনপদ। গত ৩ দিন ধরেই মেঘ-কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে থাকছে সূর্য। এ কারণে তীব্র শীত অনুভব হচ্ছে।
গত তিনদিন ধরেই এই এলাকায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির মধ্যে রেকর্ড করা হচ্ছে। শুক্রবার সকালেও বদলগাছী আবহাওয়া অফিস জেলায় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেন। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে তীব্র শীতে রাণীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা। তারা বেশি বিপাকে পড়ছেন। আর জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেরিয়ে আরও বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে খেটে খাওয়া ও নি¤œআয়ের মানুষদের।
উপজেলার খলিলুর রহমান নামে এক ভ্যান চালক জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে রাণীনগর বাজারসহ আশে পাশের এলাকায় ভ্যানগাড়ি চালিয়ে দিনে প্রায় ৫ থেকে ৭শ’ টাকা পেতাম। কিন্ত গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় মানুষ ঘরের বাহিরে বেশি বের হচ্ছেন না। শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভ্যানগাড়ি চালিয়ে মাত্র ২শ’ টাকা ভাড়া পেয়েছি। এতে তীব্র শীতের কারণে আমরা খেটে খাওয়া ও নি¤œআয়ের মানুষরা চড়ম বিপাকে পড়েছি।
কৃষক রেজাউল হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে জমিতে কাজ করতে গিয়েছিলাম। তীব্র শীতের কারনে পানিতে হাত দিলে প্রচন্ড ঠান্ডা লাগছে। কিছুক্ষণ কাজ করার পর কনকনে শীত ও হিমেল বাসাতের কারণে কাজ ফেলে রেখে বাধ্য হয়ে বাড়িতে চলে এসেছি।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণের জন্য উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদে সরকারি কম্বল পাঠানো হয়েছে। এসব কম্বল শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। আরও বরাদ্দ এসেছে সেগুলিও শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।
দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন