প্রকাশিত : ১৭ জানুয়ারী, ২০২৪ ২৩:৪৮

কুয়াশায় বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নন্দীগ্রামের কৃষক

নন্দীগ্রাম(বগুড়া)প্রতিনিধি:-
কুয়াশায় বোরো বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় নন্দীগ্রামের কৃষক

বগুড়ার উপজেলায় ঘন কুয়াশায় আছন্ন। সাতদিনের মাথায় একটু সূর্যের দেখা মিললেও কুয়াশা ও তীব্র শীতের কবলে পড়ছে বোরো বীজতলা। একারণে বীজতলার চারার গোড়া, পাতা পচা রোগ ও চারা হলুদ বর্ণ হয়ে দুর্বল হওয়াসহ ক্ষতির শঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এই উপজেলার কৃষকরা। জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলায় ১৯ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ৯৭৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ক’দিন আগেই তৈরি বীজতলায় চারাগুলো বেড়ে উঠছিলো। এরমধ্যে গত কয়েকদিন ধরে শীতের পাশাপাশি দিনভর ঝড়ছে কুয়াশা। এতে বীজতলায় বেড়ে ওঠা চারাগুলো সবুজ থেকে লালচে আবরণ ধারণ করছে। যা পরবর্তীতে শুকিয়ে মারা যাবে। তবে এগুলোর হাত থেকে বীজতলা রক্ষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। কারণ বীজতলা রক্ষা করতে না পারলে ইরি-বোরো চাষ হুমকির মুখে পড়বে। তাতে তাদের কপাল পুড়বে। আর বোরো চাষ নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা-মাঠকর্মীরা। উপজেলার রিধইল গ্রামের কৃষক মাসুদ রানা, নাজমুল হোসেন জানান, তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে বীজতলার চারাগুলো হলুদ হয়ে যােেচ্ছ। চারা রক্ষায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনে অতিরিক্ত খরচও হচ্ছে। চারা রক্ষা করতে না পারলে বোরো চাষ অনিশ্চিত। নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার গাজিউল হক বলেন, শীত ও কুয়াশার হাত থেকে বীজতলার চারা রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা। চাষ ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ কৃষকের ঘরে ফসল ওঠা পর্যন্ত সহযোগিতা করবে। এখন পর্যন্ত কোনো বীজতলার ক্ষতি হয়নি।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

উপরে