প্রকাশিত : ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ২৩:১৩

গাবতলী থানাকে লক্ষ্য করে ২টি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ২জন গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
গাবতলী থানাকে লক্ষ্য করে ২টি ককটেল
নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ২জন গ্রেফতার

গত ৩১জানুয়ারী রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় গাবতলী মডেল থানা ক্যাম্পাসের ভিতরে অফিস ভবনের পিছনে বিকট শব্দে পরপর ২টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে প্রাপ্ত আলামত (লাল কস্টেপের টুকরা ও কিছু ছোট ছোট পাথরের টুকরা) জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত ২জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ। 
থানাসূত্রে জানা গেছে, গত ৩১জানুয়ারী রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় গাবতলী মডেল থানা ক্যাম্পাসের ভিতরে অফিস ভবনের পিছনে বিকট শব্দে পরপর ২টি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শেষে থানার এসআই শরিফুল ইসলাম গত ১লা ফেব্রুয়ারী বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিলে বিষ্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে গাবতলী থানায় মামলা হয়। মামলার পর জোরালোভাবে তদন্তে নামে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা, নিখুঁত গোয়েন্দা তথ্য ও পুলিশের বুদ্ধিদীপ্ত তদন্তে ২জন আসামীকে সনাক্ত করে গত ৩রা ফেব্রুয়ারী রাত ৮টায় গাবতলী পৌর সদর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সুজল চন্দ্র দেবনাথ সঙ্গীয় অফিসার এসআই শরিফুল ইসলাম, এএসআই জয়দেব কুমার সাহা, এএসআই এনামুল হক, এএসআই আবু তৈয়ব’গণ ফোর্স নিয়ে এ গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন গাবতলী পূর্বপাড়া গ্রামের টুকু মন্ডলের ছেলে সুমন (৩৭) এবং রফিকুল ইসলামের ছেলে রাহুল হাসান (২০)। গ্রেফতারকৃত সুমন পৌর শ্রমিক দলকর্মী এবং রাহুল হাসান পৌর ছাত্রদল কর্মী। গ্রেফতারের পর আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। ঘটনাস্থলের পারিপার্শ্বিকতায় প্রতীয়মান হয় যে, থানা পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে ফেলতে কিংবা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে কিংবা পুলিশকে আক্রমনের মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে কিংবা দুষ্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসী রাজনৈতিক নেতাকর্মীগণ তাদের অবস্থান জানান দিতে থানা ভবনকে লক্ষ্য করে এ ককটেলের বিষ্ফোরন ঘটানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামীরা থানাকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে আশেপাশের রাস্তার সিসিটিভি ক্যামেরা ও রাস্তার লোকজনের চোখ এড়ানো জন্য সকল ধরণের সর্তকতা অবলম্বন করেছেন। এমনকি তারা ঘটনার সময় নিজের ব্যবহৃত মোবাইলটিও অন্যত্র রেখে এসেছিলেন। ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঘটনার সাথে মূল হোতাদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। তিনি আরো জানান, গতকাল আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে উভয়ই ফৌজদারী কার্যবধি আইনের ১৬৪ধারায় স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন।

 দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে