প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ২৩:২৩

মান্দায় প্রতিবন্ধীর সম্পত্তি থেকে গাছ কর্তনের অভিযোগ

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি :
মান্দায় প্রতিবন্ধীর সম্পত্তি থেকে গাছ কর্তনের অভিযোগ

নওগাঁর মান্দায় প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির সম্পত্তি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার বিকেলে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দুর্গাপুর পালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী অসিত কুমার ম-ল জানান, ‘আমার শাশুড়ি ভক্তি রানী শিল প্রায় ১৪ বছর আগে তার মেয়ে মুক্তি রানীর নামে পিররী মৌজায় ৬৪ শতক সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে দেন। এর পর থেকে ওই সম্পত্তি আমরা ভোগদখল করে আসছি। শাশুড়ির মৃত্যুর পর ওই সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি ঝামেলা শুরু করে।’
অসিত কুমার ম-ল আরও বলেন, ‘আমার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ির দুরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। আমি শারিরীক প্রতিবন্ধী হওয়ায় বাড়ি থেকে নিয়মিত গিয়ে সম্পত্তি দেখাশোনা করতে পারি না। এ সুযোগে দুর্গাপুর গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র ও গোবিন্দ কুমার শিল, গনেশপুর উত্তরপাড়া গ্রামের শান্ত কুমার শিল ওই সম্পত্তি ভোগদখল করতে আমার কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছিল।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, এসব ঘটনায় আমার স্ত্রী মুক্তি রানী মান্দা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় আসামি নারায়ণ চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে অন্য আসামিরাও আদালত থেকে জামিন নেয়। এর পর থেকে অভিযুক্তরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে।’
সম্পত্তির মালিক মুক্তি রানী বলেন, ‘আমার সম্পত্তিতে চার মাস আগে আম, সুপারিসহ বিভিন্ন প্রজাতির দুই শতাধিক গাছের চারা রোপণ করি। আমার স্বামী অসিত কুমার ম-ল আজ সোমবার বিকেলে দুইজন শ্রমিক নিয়ে ওইসব গাছের পরিচর্যার জন্য খেতে যান। এসময় শান্ত কুমারের নেতৃত্বে নারায়ণসহ ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তি হাঁসুয়া ও লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমার স্বামী অসিত কুমারকে মারধর করে। একই সঙ্গে সংঘবদ্ধ লোকজন হাঁসুয়া দিয়ে সমুদয় সম্পত্তির গাছ কেটে সাবাড় করে দেয়।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শান্ত ও নারায়ণ চন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে