প্রকাশিত : ২৫ মার্চ, ২০২৪ ২২:৪৮

মহাদেবপুরে মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী নিয়োগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ
ষ্টাফ রিপোর্টার
মহাদেবপুরে মাদ্রাসার ল্যাব সহকারী
নিয়োগে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

নওগাঁর মহাদেবপুরে এক মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।এ নিয়োগ বাতিলের দাবীতে এলাকার কতিপয় লোকজন তৎপর হয়ে উঠেছে। নিয়োগ বাতিলের দাবীতে গতকাল ২৫ মার্চ সোমবার পাঘা গ্রামের জনৈক গোলাম মোস্তফা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লীষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। এমন অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের পাঘা গ্রামের বছির উদ্দিন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। পাঘা গ্রামের জনৈক শরিফুল ইসলাম বলেন, একটি স্বার্থনেশী মহল ব্যাক্তি স্বার্থে কাল্পনিক অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব অপপ্রচারের ফলে প্রতিষ্ঠানটির দীর্ঘদিনের সুনাম ক্ষুন্নের আশংকা করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক এবং স্থানীয় সচেতন মহল। তবে অভিযোগ কারীরা বলেন, মাদ্রাসার সভাপতি তার ক্ষমতার অপব্যাবহার ও নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে গবেষণাগার/ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ দেয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৬ মার্চ মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ১২ প্রার্থীর মধ্যে ৯ জন উপস্থিত ছিলেন। অন্য প্রার্থীরা অনুপস্থিত ছিলেন। নিয়োগ বোর্ডে উপস্থিত ছিলেন ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক মোঃ নাইমুল হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোতাহার হোসেন, অত্র মাদ্রাসার সুপার মোঃ জালাল উদ্দীন, সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য মোঃ জুতফর রহমান। অভিযোগকারী গোলাম মোস্তফা বলেন, এ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়া প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত ছিল,কিন্তু তাদের মধ্যে থেকে কাওকে না নিয়ে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এ পরীক্ষায় অকৃতকার্য এবং স্বল্প শিক্ষিত উন্মে হানি নামের একজনকে এ পদে নিয়োগ দেয়। তবে ওই পদের নিয়োগ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এলাকাবাসীর পক্ষে তিনি অভিযোগ করেছেন বলে জানান। তবে ডিজির প্রতিনিধি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক নাইমুল হাসান বলেন, ওই পদে নিয়োগ প্রাপ্ত উন্মে হানি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে উত্তির্ন হয়েছে। নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে মাদ্রাসার সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, পাঘা গ্রামের এক ব্যাক্তি ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে নির্বাচন করে তার কাছে পরাজিত হন। পরাজিত হবার পর থেকে তিনি বিভিন্ন সময় মাদ্রাসার উন্নয়নে বাধা প্রদানের পাশাপাশি গবেষণাগার/ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ দেয়া নিয়ে গ্রামের কতিপয় লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে মির্থ্যা অভিযোগ করেছে।

দৈনিক চাঁদনী বাজার / সাজ্জাদ হোসাইন

 

উপরে