প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২৪ ১৫:১৪

ঢাবির ২ শিক্ষার্থীকে থানা থেকে মুক্ত করে আনলেন শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাবির ২ শিক্ষার্থীকে থানা থেকে মুক্ত করে আনলেন শিক্ষকরা
শাহাবাগ থানার সামনে মুক্ত হওয়া শিক্ষার্থী

শাহবাগ থানা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করে এনেছেন শিক্ষকরা। ১৭ জুলাই বুধবার দুপুরে নিপীড়ন বিরোধী  শিক্ষক সমাবেশের ব্যানারে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক অপরাজেয় বাংলা থেকে প্রথমে শাহবাগ থানায় আসেন। পরে থানার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা প্রদান করেন। 

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল নজরুল বলেন, এই থানা ওসির না, এটা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের। আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমরা থানায় ঢুকতে পারব না কেন? অপর আরেকজন শিক্ষককে বলতে শোনা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বাইরে দাড়িয়ে থেকে কথা বলবে না আপনার সাথে। আপনারা দরজা খোলেন আমরা কয়েকজন যাবো। সন্তান আটকে থাকলে একজন বাবা-মার কি যায় আপনারা বোঝেন?  

পরে শিক্ষকদের একটি দল থানার ভিতরে প্রবেশ করে। এসময়  শিক্ষকরা থানায় আটক থাকা ২ জন শিক্ষার্থীকে মুক্ত করে আনেন। এসময় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুনসহ অন্য শিক্ষকদের উপস্থিত দেখা যায়। 

আটক একজন শিক্ষার্থী জানান, আমার গায়ে হাত তোলা হয়নি কিন্তু গতকাল দুপুরে আটক করার পর থেকে আমাকে কারো সাথে যোগাযোগ করতে  দেয়া হয়নি। তারা আমাকে রাত ২টা পর্যন্ত রমনা থানায় রাখে। পরে আমাকে ডিএমসিতে নিয়ে যায়, সেখানেও কারও সাথে কথা বলার কোন সুযোগ দেয়নি। সেখান থেকে আমি সুযোগ বুঝে ইশারায় একজন ডাক্তারকে একটি কাগজে আমার পরিবারের একটি নাম্বার লিখে দেই। তারপর আমাকে আবার থানা নিয়ে আসা হয়। তারপর অশ্রুশিক্ত কন্ঠে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমি শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে ২ শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অধ্যাপক আসিফ নজরুল নজরুল বলেন, ছাত্রদের গায়ে হাত না দিলেও তাদের অন্তত পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে দেওয়া উচিত ছিল।

উপরে