প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৪ ২২:৪৮
কোটা সংস্কার আন্দোলন
বেরোবি প্রশাসন কর্তৃক আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান
নিহত আবু সাইদের পরিবারের পাশে থাকবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিহত আবু সাঈদ
কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নিহত আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় নিহত আবু সাঈদের বাবা মায়ের হাতে সাড়ে সাত লাখ টাকার একটি চেক তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল।
এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সাথে দেখা করতে আসে। সে সময় ভিসি আমার সাথে মোবাইলে কথা বলেন। আমাদের খোঁজ খবর নেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাবোনা। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারব শেষ সময়ে।
প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন। এছাড়াও পরিচিত অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানান তিনি।
সাঈদের বাবা আরো বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিলো আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় চলতাম আমরা। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোন সান্ত¡না নেই। পিতা হয়ে সবচেয়ে ভারি কাজ হলো সন্তুুানের লাশ কাঁধে নেয়া। আল্লাহর কাছে এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দায়া চান বৃদ্ধ এ বাবা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, কর্মকর্তা এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে সাঈদের বাবা মায়ের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সারে সাত লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেরোবি ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। তার মৃত্যুতে সন্ধ্যার পরপরই শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। নিহত আবু সাইদের পরিবারের পাশে থাকবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলে প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হাসিবুর রশীদ।
এ সময় নিহত আবু সাঈদের বৃদ্ধ বাবা মকবুল হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এর আগে আরেকদিন আমাদের সাথে দেখা করতে আসে। সে সময় ভিসি আমার সাথে মোবাইলে কথা বলেন। আমাদের খোঁজ খবর নেন। আমাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। আমি স্যারকে বলেছিলাম আমাদের পরিবারের একজনকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেয়া হয়। ভিসি স্যার আশ্বস্ত করেছেন। সন্তানকে তো আর ফিরে পাবোনা। আমাদের পরিবারের একজনকে একটা চাকরি দিলে আমরা হয়তো একটু ভালোভাবে চলতে পারব শেষ সময়ে।
প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ না কেউ খোঁজ রেখেছেন। এছাড়াও পরিচিত অপরিচিত অনেকেই সহায়তা করছেন বলেও জানান তিনি।
সাঈদের বাবা আরো বলেন, আমার কলিজার টুকরা ছিলো আবু সাঈদ। তার প্রাইভেট পড়ানোর (টিউশনের) জমানো টাকায় চলতাম আমরা। সন্তান হারিয়েছি, এ শোকের কোন সান্ত¡না নেই। পিতা হয়ে সবচেয়ে ভারি কাজ হলো সন্তুুানের লাশ কাঁধে নেয়া। আল্লাহর কাছে এখন শুধু সবার কাছে সন্তানের জন্য দায়া চান বৃদ্ধ এ বাবা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মন্ডল আসাদ, কর্মকর্তা এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফিরোজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রক্টর শরিফুল ইসলাম বলেন, ভিসি মহোদয়ের নির্দেশে সাঈদের বাবা মায়ের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন। ভিসি স্যার নিজেও সাঈদের পরিবারের খোঁজ রাখছেন, পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে আজকে সারে সাত লক্ষ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ সহযোগিতার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেরোবি ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাইদ। তার মৃত্যুতে সন্ধ্যার পরপরই শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। নিহত আবু সাইদের পরিবারের পাশে থাকবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বলে প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য হাসিবুর রশীদ।