প্রকাশিত : ৫ আগস্ট, ২০২৪ ০৩:৩২

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ইরি-আমন সেচে অতিরিক্ত টাকা আদায়

প্রতিনিধি, ক্ষেতলাল, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ইরি-আমন সেচে অতিরিক্ত টাকা আদায়

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ইরি-আমন সেচে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে গভীর নলকুপ মালিক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে।  ভুক্তভোগী শতাধিক  কৃষকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ১৭ জুলাই উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও সেচ কমিটির সভাপতি বরাবর দেওয়ার পরও কোন প্রতিকার মেলেনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের পশ্চিম কৃষ্ণপুর মৌজায় অবস্থিত গভীর নলকুপের মালিক জিয়াপুর গ্রামের মোয়াজ্জিম হোসেনের ছেলে নজরুল ইসলাম।  তিনি ওই এলাকার কৃষকদের জিম্মিকরে উপজেলা সেচ কমিটির নির্ধারিত ইরি আমন সেচের মুল্যের চাইতে অধিক হারে আদায় করছে।  প্রতিকার চেয়ে একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার শতাধিক ভূক্তভোগী কৃষক।

ভূক্তভোগী কৃষক জিল্লুর রহমান, আবু হায়দার, সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকেই চাঁদনী  বাজারকে জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলা সেচ কমিটি ইরি-আমন সেচের জন্য মূল্য নির্ধারণ করেছে ইউনিয়ন ভেদে প্রতি বিঘা ১ হাজার ২৫০ টাকা।  আমরা তাকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দিতে চেয়েছিলাম। তাতে সে রাজি না হয়ে ১ হাজার ৮০০ টাকা মূল্য লিখে হালখাতার চিঠি দিয়েছে। তার নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করলে বিভিন্ন ভয়ভীতি  এবং পরতর্তী মৌসুমে আমাদের জমিতে পানি সেচ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

গভীর নলকুপ মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, অন্যান্য নলকুপ মালিকরা  যে হারে আদায় করেছে আমিও সেই হারে আদায় করছি। কাওকে ভয়ভীতি দেখায়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শামীম বলেন,  এবিষয়ে আমি মৌখিক ভাবে জেনেছি। ওই এলাকার কৃষক নিবার্হী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে তিনি  ব্যবস্থা নিবেন।

উপজেলা নিবার্হী অফিসার উম্মে তাবাসসুম বলেন,  এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি বিএমডিএ অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। বিএমডিএ অফিসার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকার কারনে সপ্তাহে দুইদিন অফিস করে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপরে