প্রকাশিত : ১৯ আগস্ট, ২০২৪ ০০:৩২

রাজশাহীতে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ১৮ লাখ টাকা থানায় জমা দিলেন শিক্ষার্থীরা

মোঃ ফয়সাল আলম, রাজশাহীঃ
রাজশাহীতে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া ১৮ লাখ টাকা থানায় জমা দিলেন শিক্ষার্থীরা
রাজশাহীতে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা থানায় জমা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। - প্রতিনিধি

রাজশাহীতে কুড়িয়ে পাওয়া ১৭ লাখ ৯২ হাজার টাকা ও একটি সোনালি রংয়ের ধাতব বস্তু থানায় জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৮ আগস্ট) ভোর সোয়া ৫টার দিকে নগরীর ভদ্রা এলাকায় রাস্তা থেকে ওই টাকা ও ধাতব বস্তুটি কুড়িয়ে পান শিক্ষার্থীরা। পরে সকাল ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী টাকা ও ধাতব বস্তুটি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় সেনাবাহিনী ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জমা দেন।

নগরীর বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ইকবাল হোসেনের উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ টাকাগুলো তাদের কাছ থেকে বুঝে নেন। পুলিশ বলছে, এই টাকা কোথা থেকে এল তা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধাতব বস্তুটি স্বর্ণকারকে দিয়ে পরীক্ষা করে পিতল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধাতব বস্তুটিতে ১৮টি ছিদ্র আছে। এটি কোনো সংকেত বলে তারা ধারণা করছেন।

থানায় টাকা জমা দিতে এসেছিলেন নাটোরের সিংড়ার রহমত ইকবাল ডিগ্রি কলেজের আকাশ আলীসহ ১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আকাশ আলী সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তারা রাতভর নগরের ভদ্রা এলাকায় পাহারা দেন। পাহারা শেষে তারা ভোরে বাসায় ফিরছিলেন। তখন এলাকার একটি ছাত্রাবাসের সামনে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। ব্যাগটিতে লাথি দিলে তারা বুঝতে পারেন ভেতরে কিছু আছে। তখন ব্যাগটি খুলে দেখেন ভেতরে ১০০০ টাকার নোটের ১৮টি বান্ডিল। মোট টাকার পরিমাণ ১৭ লাখ ৯২ হাজার। ব্যাগে তারা সোনালি রঙের একটি ধাতব বস্তুও পান। ধাতব বস্তুটিতে ১৮টি ছিদ্র আছে। পরে তারা থানায় এসে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সবকিছু জমা দিয়েছেন।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, “আদালতের অনুমতি নিয়ে টাকাগুলো এখন রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। আর ধাতব বস্তুটি পিতলের। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে স্বর্ণকারের সনদ নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি এই টাকার মালিক কে, এগুলো অবৈধ টাকা কি-না কিংবা কোনো অপরাধী এ টাকা বহন করার সময় পড়ে গেছে কি-না, তা তদন্ত করা হবে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

উপরে