এই সরকারের প্রতি নিরঙ্কুশ সমর্থন না থাকলেও সমর্থন আছে -নাগরিক ঐক্যের মান্না
.jpg)
এই সরকারে যারা আছেন, তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই, তারা কেউ রাজনীতিবিদ নন। তাই রাজনৈতিকভাবে ও প্রশাসনিকভাবে কতটা মোকাবিলা করতে পারেন, সেটা আমাদের দেখতে হবে। তাই আমাদের সমর্থন নিরঙ্কুশ না হলেও সমর্থনটা চালিয়ে যেতে চাই। যতদিন রাষ্ট্র সংস্কারে সময় লাগে, ততদিন আমরা সমর্থন রাখতে চাই। সেটা ৩ মাস ৬ মাস না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের স্থানীয় এক কমিউনিটি সেন্টারে নাগরিক ঐক্যের জেলার মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছি। তারপরও আন্দোলনকে সরকার হঠানোর দরজায় নিতে পারিনি। তবে এই দেশের ছাত্ররা, সোনার ছেলেরা আন্দোলনকে সফল করেছে। একটি নতুন বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে এই নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। যেখানে বুক ভরে শ্বাস নিতে চাই, প্রাণ ভরে কথা বলতে পারি, যে কোন মানুষকে বন্ধু করে নিতে পারি। কেউ ঘারের উপরে উঠতে না পারে এজন্য আইনের সংস্কার চাই, শিক্ষার সংস্কার চাই, অর্থনীতির সংস্কার চাই, রাজনীতির সংস্কার চাই। এসব সংস্কার করতে সময় লাগবে। অনেকেই বলছে, সরকারকে ৩ মাস সময় দিতে চাই, আবার বলছেন ৩ মাস না হলে ৬ মাস সময় দিতে চাই। আপনারা সময় দেয়ার কে। এজন্য আমি বলতে চাই, রাষ্ট্র সংস্কারে যতদিন সময় লাগে ততদিন সময় দিতে হবে। আমরা ক্ষমতার লোভ করি না। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা একটা প্রকল্প থেকে ৫০০ কোটি টাকা নিয়েছে, এরকম যত প্রকল্প আছে, সব প্রকল্প থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তারা দেশকে উন্নয়নের নামে ধ্বংশ করে দিয়েছে। এই দেশটা নতুন করে গড়তে সময় লাগবে। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, দেশের স্বাধীনতা একবারই আমরা লাভ করেছিলাম কিন্তু ১৭ বছর আমরা যে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশটি আমরা পেয়েছিলাম সেই দেশটি আমরা মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের হাত থেকে ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল, সেই ছিনতাই হওয়া দেশকে মুক্ত করে দিয়েছে ছাত্র—জনতা। অথচ আমরা আওয়ামীলীগের ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে, জমি দখল নিয়ে ভাবছি। এগুলো বন্ধ করতে হবে। এগুলো চলতে থাকলে, যে লাউ সেই কদুর মতোই হবে। এসময় তিনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের দল গোছানোর আহবান জানিয়ে বলেন, ভালো মানুষ না থাকলে ঘুরে ফিরে তারাই আসবে। এজন্য দুর্বৃত্ত সরাতে হলে ভালো কিছু নিয়ে আসতে হবে। যাতে মানুষ ভোট দেয়ার সময় ভালো মানুষকে খুঁজে পায়। আবু সাঈদের মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা আবু সাঈদ হত্যার সাথে জড়িত তাদের কোন দায়িত্বে রেখে তদন্ত পরিচালনা করা যাবে না। তাদের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করতে হবে। জেলার মতবিনিময় সভায় রংপুর জেলার আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আজাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণতন্ত্র মঞ্চের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাখখারুল ইসলাম নবাব। এরপর মাহমুদুর রহমান মান্না আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করতে পীরগেঞ্জের পথে রওয়ানা হন।