প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২৪ ০২:৩৮

গাবতলীতে লীজকৃত জলমহলে দিনে পর দিন মাছ লুট!

প্রতিনিধি, গাবতলী, বগুড়াঃ
গাবতলীতে লীজকৃত জলমহলে দিনে পর দিন মাছ লুট!

 বগুড়া গাবতলীতে লীজকৃত চকবোচাই বিল বাইশা জলমহলে দিনের পর দিন চলছে মাছ লুটের মহোৎসব। যা দেখার কেউ নেই। লীজগ্রহীতারা শান্তিপ্রিয় মানুষ হওয়ায় ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ। জলমহলটি আবারো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন ভূক্তভোগীরা।  
জানা গেছে, গত বছরের ১৪৩০বাংলা সন থেকে ১৪৩২বাংলা সন পর্যন্ত (৩বছর) সরকারী জলমহলটি বগুড়া ডিসি অফিস থেকে লীজ গ্রহণ করেন পার্শ্ববর্তী সোন্দাবাড়ী মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক। সমিতির সভাপতি আশিকুর রহমান আশিক জানান, জলমহলটি লীজগ্রহণের সময় ছিল অপরিস্কার। প্রায় সাড়ে ৫লাখ টাকা ব্যয়ে জলমহলটি পরিস্কার করে মাছ চাষের উপযোগী করে গড়ে তুলে সমিতির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে মাছ চাষ শুরু করি। জলমহলে প্রায় ১৫/২০লাখ টাকার বিভিন্ন জাতের মাছ ছিল। গত ৮আগষ্ট থেকে প্রকাশ্যে স্থানীয় নাহিদ হাসান রাজুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে দিনেরাতে মাছ লুট করা শুরু হয়, যা এখনো চলমান রয়েছে। ভূক্তভোগীরা জলমহলটি আবারো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন। এলাকাবাসীরা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানান, গত ৫আগষ্ট ছাত্র—জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮আগষ্ট স্থানীয় কতিপয় কিছু মানুষের সহযোগিতায় বগুড়া সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গার সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসী বাহিনী জলমহলটি দখলে নেয়। তারপর থেকেই চলছে মাছ লুটের মহোৎসব। এখন মাছ লুটের প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। সেইসাথে জলমহলের চারিপাশে দেওয়া নেটও কেটে নিয়ে যায় তারা। বিষয়টি নিয়ে কথা বললে গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে বিএনপির কেউ এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে প্রমাণ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আইননি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। আমরা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো। এ ব্যাপারে ইউএনও নুসরাত জানান বন্যা বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে লীজগ্রহীতাকে জলমহলটি বুঝিয়ে দেয়া হবে। সেইসাথে এ কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

 

উপরে