বগুড়া শজিমেক এর ইমারজেন্সি গেটে আন্ডারপাস নির্মান দাবিতে মানববন্ধন
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এর ইমারজেন্সি গেটে আন্ডারপাস নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় শজিমেক'র সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। ছিলিমপুর, চককান পাড়া শাকপালা, মালগ্রাম ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডবাসিসহ অত্র শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা এ কর্মসূচি আয়োজন করেন। এতে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক তরিকুল ইসলাম আলমগীর, মাহবুব হাসান লিমন, জাকির হোসেন বেবি, জহুরুল ইসলাম পলাশ, ইমদাদুল হক, সাইফুর রহমান সেতু, বাকিরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনের বক্তারা বলেন যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ গেট বরাবর আন্ডারপাস তৈরি করার মাধ্যমে ডাক্তার, ছাত্র—ছাত্রী ও কর্মচারীদের রাস্ব্যতা পারাপারের ব্যবস্থাও থাকলেও উত্তর অঞ্চলের হতদরিদ্র লোকজনের একমাত্র চিকিৎসার স্থান শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি গেটে মহাসড়ক পারাপারের কোন ব্যবস্থা রাখা হয়নি। ফলে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁ, গাইবান্ধা, রংপুর, দিনাজপুর ও বগুড়ার বিভিন্ন থানা থেকে আগত রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স সহজে হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কলেজ গেট দিয়েই ডাক্তার, ছাত্র—ছাত্রী, কলেজ স্টাফ সহ রুগীর লোকজন, অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করে তাহলে কলেজ ও হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্নতা সহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যা আমরা পূর্বে লক্ষ্য করেছি। অপরদিকে হাসপাতালের ইমার্জেন্সি গেট থেকে কলেজ গেটের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। হাসপাতালে জরুরি বিভাগের অপর পাশে ওষুধের দোকান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হোটেলসহ রোগীদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের প্রায় তিনশটির দোকান রয়েছে। যদি লোক পারাপারের সুব্যবস্থা না থাকে তাহলে প্রায় ৩০০ টি দোকানের মালিক ও কর্মচারী সহ তাদের পরিবারের প্রায় দুই থেকে তিন হাজার লোকের জীবন জীবিকা বন্ধ হয়ে যাবে। বিশেষ করে অসহায় ও স্বল্প পুজির ব্যবসায়ীদের আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হবে। তাই জরুরি ভিত্তিতে সাধারণ রোগী, রোগীর স্বজন, গ্রামবাসী, চিকিৎসা প্রত্যাশী সাধারণ মানুষ, ও ব্যবসায়ীদের সুবিদার্থে জরুরী গেটে রাস্তা পারাপারের জন্য আন্ডারপাস নির্মানের জোড় দাবি জানান তারা। অন্যথায় আরো বৃহৎ আন্দোলনের হুশিয়ারী দেওয়া হয়।