গোবিন্দগঞ্জে কিশোরীকে নির্যাতনের পর হত্যার ঘটনায় ১ জন আটক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নিখেঁাজ কিশোরীকে পাষবিক নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে আশামনি নামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের পুনতাইর (ফকিরপাড়া) গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে নিজ বাড়ী থেকে ওই কিশোরী নিখোঁজ হয়েছিল। সে ওই গ্রামের আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। নিহত আশামনি’র বাবা আশরাফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে তার মেয়ে বাড়ী থেকে নিখোঁজ হয়। শুক্রবার রাত ও শনিবার দুপুর পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন জায়গায় খেঁাজা — খঁুজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে শনিবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে বাড়ীর পাশের জঙ্গলে (বাঁশঝাড়) আশামনি’র মরদেহ পাওয়া যায়। নিহতের পরিবারের ধারণা, তাকে অপহরণের পর ওই জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা।
গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি—সার্কেল) উদয় কুমার সাহা জানান, শনিবার বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে কিশোরী মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায়— ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ওই কিশোরীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার মূল কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে নিহতের বড় বোন অঁাখি তারা বেগম বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত বাচ্চা মিয়ার ছেলে রাজা মিয়া এবং রাজা মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান মাসুদ সহ অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজা মিয়াকে আটক করা হয়েছে।