প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৯:২২

ইউনিক পাবলিক স্কুলের পরিচালক ও তার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউনিক পাবলিক স্কুলের পরিচালক ও তার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
গতকাল দুপুর সাড়ে বারোটায় বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন আলী আকবর গোলাপ। ছবি: চাঁদনী বাজার
ইউনিক পাবলিক স্কুলের পরিচালক ও তার স্ত্রী’র বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ করেন শহরের সূত্রাপুর এলাকার আলী আকবর গোলাপ। সোমবার বেলা ১২টায় বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, বগুড়ার একটি প্রভাবশালী গং যথা ইউনিক পাবলিক স্কুল এর পরিচালক ও জাহিদুর রহমান মহিলা কলেজের প্রভাষক মো: তনছের আলী প্রাং ও একটি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মাফরুহা জুয়ায়রা বগুড়া সদরের মালগ্রাম মৌজার ১১১৫ দাগে ৯৩ শতক এর কাতে ৭৩ শতক জমি কেনার জন্য শতাব্দী প্রপার্টিজ এন্ড ডেভলপার্স এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গত ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় আইনগত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আমরা ঐ জমি আমাদের বলে দাবি করে তাকে অবগত করি এবং ডাক রেজিস্ট্রি যোগে ২৭/১২/১৬ ইং এ পত্র প্রেরণ করি। এরপরও তারা ওই জমি কিনে আমাদের সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করছে। যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মো: তনছের আলী গং জমি কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তারা মূলত ওই জমির বৈধ ওয়ারিশ নন। সিএস, এম আর আর এর সুনির্দিষ্ট ওয়ারিশগণের কাছ থেকে তারা জমি কেনেননি। পক্ষান্তরে আমরা সিএস ও এম আর আর এর অংশীদার এবং আমরা সিএস ও এম আর আর এর অংশীদারদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছি। আমাদের বিরোধিতা শর্তেও মো: তনছের আলী গং ওই জমি ক্রয় করে বিরোধের সৃষ্টি করে। তারা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের ছত্র ছায়ায় থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ গত ২৯ আগস্ট মো: তনছের আলী গং তার স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওই জায়গা দখলের চেষ্টা করে এবং পৌরসভার নক্সা অনুমোদন না থাকা শর্তেও স্থাপনা নির্মানের চেষ্টা করছেন, পৌরসভা নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে নির্মান কাজ পরিচালনায় লিপ্ত। আমরা আমাদের সম্পতি রক্ষার্থে ২০১৬ সালে ১৮৬/১৬ বন্টন মামলা আনায়ন করি। যা চলমান রয়েছে। ওই মামলা চলাকালে মো: তনছের আলী গং প্রায়শ ঐ জমি দখলের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়ে জায়গার সুরক্ষা নিশ্চিত এবং প্রতিপক্ষ যাতে ওই জমিতে না আসতে পারে সেজন্য আদালতের দ্বারস্থ হই। আদালত থেকে স্থিতিবস্তা আদেশ দেয়। মো: তনছের আলী গং আদালতের স্থিতিবস্তা আদেশ না মেনে একাধিকবার জায়গা নিয়ে হাঙ্গামা এবং দখলের চেষ্টা করে। তার প্রমাণ গত ২৯ আগস্ট তারা আবরও দখলে চেষ্টা করা। আদালতে মামলা চলমান থাকা স্বর্তেও এবং স্থিতিবস্তা থাকার পরও দখলের চেষ্টা করছে। মো: তনছের আলী গং ঐ স্থানে ভবন নির্মাণের জন্য পৌরসভায় নকশা দাখিল করলেও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ জমির বিরোধ থাকায় নকশা অনুমোদন করেনি। নকশা অনুমোদন না হওয়া সত্ত্বেও তারা নির্মাণ কাজ করার অবৈধ চেষ্টা করে চলেছে। তারা নির্মান কাজ করার জন্য আমাদের ভোগ দখলকৃত টিনের ঘর ও গাছগাছালি কেটে ফেলে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের আদেশ মেনে চলেছি। প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আমরা আপনাদের মাধ্যমে যৌথবাহিনী এবং প্রশাসনের সাহায্য কামনা করছি যাতে আমরা ন্যায় বিচার পাই এবং মো: তনছের আলী গং কোন সন্ত্রাসী কায়দায় জমি দখল করতে না পারে। আমরা চাই আদালতের মাধ্যমে নিষ্কণ্টক মালিকানা নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা যেন ওই জমিতে গিয়ে অবৈধ দখল নিতে না পারে।
 
 
উপরে