প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:১৯

আলী আকবর গোলাপের সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে ইউনিক পাবলিক স্কুলের পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
আলী আকবর গোলাপের সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদে ইউনিক পাবলিক স্কুলের পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন
গত সোমবার মোঃ আলী আকবর গোলাপ ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম সাচ্চুর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদত্ব বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইউনিক পাবলিক স্কুল, বগুড়ার চেয়ারম্যান তনসের আলী প্রাং। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন,  “জেলা ও উপজেলা বগুড়া, মৌজা মালগ্রাম সি.এস খতিয়ান নম্বর ৬১ এর জোত ভূমি রায়তি স্বত্বে ইমামুদ্দিন আহম্মদ নামে ষোল আনা অংশে লিপিবদ্ধ আছে। ইমামুদ্দিন আহম্মদ মারা গেলে স্ত্রী ছলেমান নেছা বেওয়া, পুত্র নিজাম উদ্দিন এবং ৪ কন্যা দৌলতন নেছা, হামেদন নেছা, আবেদন নেছা এবং আশরাফন নেছা ওয়ারীশ থাকে। উক্ত সি.এস খতিয়ানে মোট জমির পরিমান ৩.০৮২৫ একর। উক্ত খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত নালিশী সাবেক ১১১৫ দাগের ৯৩ শতকসহ মোট ১৮৩.৭৫ শতাংশ জমি অছিম উদ্দিন মোল্যা পিতা মৃত মিয়াজান মোল্যা ১৩/০৩/১৯৩৪ সালে ইমামুদ্দিন আহম্মদের উক্ত স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাগণ বরাবর ১৬৫৬ নম্বর একটি বেম্যাদী কবুলিয়ত সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া দিয়া উক্ত জমি কৃষি কাজের নিমিত্তে পত্তন গ্রহন করে। তৎপর অছিম উদ্দিন মোল্যা উক্ত ১১১৫ দাগের ৯৩ শতক জমিতে স্বত্ববান ও দখলকার থাকা অবস্থায় ০৫/০১/১৯৪০ তারিখের ১৯১ নম্বর একটি রেজিস্ট্রিকৃত কবলা দলিল মূলে ১১১৫ দাগের ৯৩ শতক জমি সহ অন্যান্য জমি সি.এস খতিয়ানের মালিক ইমামুদ্দিনের পুত্র নিজাম উদ্দিন মাহমুদ বরাবর হস্তান্তর করত স্বত্ব দখল পরিত্যাগ করে। উক্ত দলিলে উল্লেখ আছে যে দাতা ১৩/০৩/৩৪ তারিখের ১৬৫৬ নম্বর রেজিস্ট্রিকৃত কবুলিয়ত মুলে দাতা উক্ত জমি প্রাপ্ত হইয়াছে। তৎপর নিজাম উদ্দিন আহম্মদ ১১১৫ দাগের ৭৭ শতক জমি বিগত ৩০/০৪/১৯৪১ তারিখের ৪৪৪৫ নম্বর রেজিস্ট্রিকৃত একটি কবলা দলিল মূলে অছির উদ্দিন মোল্যা পিতা মিয়াজান মোল্যা বরাবর হস্তান্তর করে। উক্তরুপে অছির উদ্দিন মোল্যা ১১১৫ দাগের ৭৭ শতক জমিতে স্বত্ববান ও দখলকার থাকা অবস্থায় বিগত ১০/০৭/৪৬ তারিখের ৮২৩১ এবং ৮২৩২ নং ২টি কবলা দলিল মূলে উক্ত জমি জমিলা খাতুন স্বামী আজিজ আহম্মদ মোহাম্মাদ হোসেন বরাবর হস্তান্তর করত স্বত্ব দখল পরিত্যাগ করে। উক্ত জমি সহ অন্যান্য জমির বাবদ ৯৮ নম্বর এম.আর. আর খতিয়ান উক্ত জমিলা খাতুন সহ জোতের অন্যান্যদের শরিকদের নামে প্রস্তুত হইয়াছে। উল্লেখ্য যে উক্ত এম, আর, আর খতিয়ানে আরও অনেক দাগ জমি থাকায় উক্ত খতিয়ানে অন্যান্য শরীকগণের নাম অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। উক্ত জমি বাবদ জমিলা খাতুন ৭০৬ (৯-১) ৬৪-৬৫ নামজারি কেস মূলে পৃথক ভাবে নামজারি করিয়া লইয়াছে। জমিলা খাতুন মারা গেলে তৎত্যক্ত অংশ ৪ পুত্র আজহার হোসেন, আকরাম হোসেন, আবু হোসেন, আমির হোসেন ও ৫ কন্যা খুরশিদ বানু, রওশন বানু, আফরুজ বানু, নাছিমা বানু এবং আকতার বানু তাহা প্রাপ্ত হয়। অতপর উল্লিখিত শরীকগন বিগত ২৪/১১/১৯৯০ তারিখে ঢাকার ১ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হলফনামার ভিত্তিতে নালিশী ১১১৫ দাগের জমি সহ অন্যান্য জমি বিভাগ বণ্টন করিয়া লয়। উক্ত বণ্টননামার ভিত্তিতে নালিশী ১১১৫ দাগের ৭৭ শতক জমি সহ অন্যান্য জমি উক্ত বণ্টননামার ২য় পক্ষ আমির হোসেনের অংশে পড়ে। উক্ত জমি বাবদ আমির হোসেনের নামে ৮৭২ নম্বর ডি.পি খতিয়ান প্রস্তুত হয় এবং আমির হোসেন ৭৭ (৯-১) ২০০০-২০০১ নামজারি কেস মুলে পৃথক ভাবে নামজারি করিয়া লইয়া সরকার সেরেস্তায় খাজনা প্রদান করিয়া দাখিলা প্রাপ্ত হয়। দাখিলা প্রাপ্ত হওয়ার পর উক্ত জমি সোনালী ব্যাংক লিমিটেড বগুড়া শাখায় মর্গেজ রাখিয়া ঋণ গ্রহন করিয়া ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হইলে ৪৮৬/৯০ অর্থঋণ মামলা দায়ের হয়। অতপর সোনালী ব্যাংক উক্ত মামলায় ডিক্রী প্রাপ্ত হওয়ার পর ৮৭/৯৪ অর্থ ডিং মামলা দায়ের করে। তৎপর সোনালী ব্যাংক ও আমির হোসেনের মধ্যে উক্ত অর্থ ডিং মোকদ্দমাটি আপোষে নিষ্পত্তি হয়। আমির হোসেন ব্যাংকের সাকুল্য ঋণ পরিশোধের জন্য শতাব্দী প্রোপারটিজ এ্যান্ড ডেভলোপারস্ লিঃ এর নিকট হইতে ঋণের টাকা লইয়া ব্যাংক বরাবর পরিশোধ করে। তৎপর সোনালী ব্যাংক ০৫/১২/২০০৭ তারিখে ১৯২৪৩ নম্বর একটি বন্দক অবমুক্ত দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করিয়া দেয়। উক্তরুপে আমির হোসেন ১১১৫ দাগের ৭৭ শতক জমি দখল ভোগ করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় উক্ত দাগের মধ্য হইতে ৪.৩৮ শতক জমি এল.এ কেস নং ২৪/পৌরসভা/২০০৬ মূলে হুকুম দখল হইলে হুকুম দখলের ক্ষতিপূরণের টাকা আমির হোসেন নিজে সংশ্লিষ্ট এল.এ অফিস হইতে উত্তোলন করে। উল্লেখ যে আছির উদ্দিন মোল্যা পিতা মিয়াজান মোল্যা বিগত ২৫/০৪/৪২ তারিখের ৪৭৭৭ নম্বর একটি কবলা দলিল মূলে ১১১৫ দাগের ১৬ শতক জমি জয়েন উদ্দিন, ময়েন উদ্দিন ও জয়নাল আবেদীন বরাবর হস্তান্তর করিয়াছে। উক্ত জয়েন, ময়েন ও জয়নাল আবেদীন উক্ত ১৬ শতক জমি লবানু মোল্যা বরাবর হস্তান্তর করায় ৯৮ নং এম.আর.আর খতিয়ানে লবানু মোল্যার নাম অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে। উক্ত আমির হোসেন ১১১৫ দাগের ৭২.৬২ শতক, ১১১৮ এবং ৭৩৬ দাগের ৫০ শতক জমি সহ মোট ৭৩.১০ শতক জমি ২৭/১২/২০০৭ তারিখের রেজিস্ট্রিকৃত ২০৩৯৮ নম্বর একটি কবলা দলিল মূলে শতাব্দী প্রোপারটিজ এ্যান্ড ডেভলোপারস্ লিমিটেড বরাবর হস্তান্তর করে। ক্রেতা ৪৫২০ (৯-১) ০৭-০৮ নামজারি কেস মূলে ৭২.৬২ শতক জমি পৃথক ভাবে নামজারি করিয়া লইয়া বগুড়া পৌরসভায় ৫৩২ (০১) পৌর হোল্ডিং খুলিয়া পৌর কর পরিশোধ করে এবং ১২/০১/২০০৯ তারিখে পৌর প্লান অনুমোদন করিয়া লইয়া নালিশী জমির চতুর পার্শ্বে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণ করে। জনৈক আলী আকবর গোলাপ শতাব্দী প্রোপারটিজের বাউন্ডারী নির্মাণের বিষয়ে বগুড়া পৌরসভায় অভিযোগ করিলে তথায় ৭৬৭/০৯ নং মামলা রুজু হয়। অতপর পৌর মেয়র পক্ষদ্বয়কে শুনানী অন্তে উক্ত ৭৬৭/০৯ মোকদ্দমাটি খারিজ করিয়া দেন। বাদীর পিতা নজরুল ইসলাম আমির হোসেন নামীয় খারিজ বাতিলের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে ৭৭ (৯-১)২০০০-২০০১ আপত্তি দাখিল করিলে উহা বিগত ২৬/১০/১১ তারিখে খারিজ হয়। ইহা ছাড়া উক্ত নজরুল ইসলাম আমির হোসেন নামীয় বর্তমান জরিপের পর্চা বাতিলের জন্য সেটেলমেন্ট কার্যালয়ে ১০০৩৬/১০ আপীল দায়ের করিলে তাহাও ৩০/০৯/১৫ তারিখে নামঞ্জুর হয়। তাছাড়াও আকবর আলী গোলাপের পিতা মৃত নজরুল ইসলাম দিং বাদী হয়ে ৪২/১০ অন্য মোকদ্দমা আনয়ন করেন। উক্ত মোকদ্দমা ১৩/০৫/১৫ সালে খারিজ হয়ে যায়। উল্লেখ যে, মোঃ সিরাজুল ইসলাম সাচ্চু কিছু অকার্যকর ও ভূয়া কাজগপত্র তৈরি করে কোর্টে মামলা দিয়ে কোর্টকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করেছে। সিরাজুল ইসলাম সাচ্চু আমার বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনয়ন করে। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষে শুনানি অন্তে ৯/১১/২০১৭ তারিখে তা না মঞ্জুর করেন। পরবর্তীতে আলী আকবর গোলাপ ও সিরাজুল ইসলাম সাচ্চু হাইকোর্ট থেকে ঝঃধঃঁংপড় নেয় যা ১২/০৯/২০১৯ তারিখে উভয়ের ঝঃধঃঁংপড় ঠধপধঃব হয়ে যায়। তাছাড়া সিরাজুল ইসলাম সাচ্চু ৩০৩৭ ডিপি খতিয়ানে ঞবসঢ়বৎবফ (জাল) করে পৌর হোল্ডিং খোলার চেষ্টা করেছিলো। যা ব্যর্থ হয়। শতাব্দী প্রোপারটিজ লিমিটেড বিগত ১৫/০২/১৭ তারিখের ২০৩৯৮ নম্বর একটি কবলা দলিল মূলে নালিশী জমি মোঃ তনছের আলী বরাবর হস্তান্তর করত স্বত্ব দখল পরিত্যাগ করে। উক্ত সম্পত্তিটি নিষ্কন্টকভাবে ক্রয় করা হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গাছ লাগানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হলে এটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য অপকৌশল গ্রহন করছে এবং আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছে। আমি মো: তনছের আলী প্রাং ও আমার স্ত্রী মাফরুহা জোয়ায়রা দুজনই শিক্ষক ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আমাদেরকে সমাজে হেয় করার উদ্দেশ্যে এ ধরণের সংবাদ সম্মেলন করেছে। সঠিক তথ্য জানান দেয়ার জন্য আপনাদের নিকট পাল্টা সংবাদ সম্মেলন পেশ করলাম।”
 
উপরে