প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০১:৫৮

বগুড়ায় বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচির অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় বিয়ের দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে চাচির অনশন
অনশনরত ভুক্তভোগী নারী।

বগুড়ায় গতকাল বিয়ের দাবি নিয়ে দুই দিন ধরে অনশনে বসেছে ভাতিজার বাড়িতে চাচি। উক্ত ঘটনাটি নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়নে কালিশ পুনাইল গ্রামে রফিকুল ইসলাম ওরফে রানার বাড়িতে দুই সন্তানের জননী অনশন করছে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীকে দেখতে ভিড় জমান সাধারণ আমজনতার মানুষ। এঘটনায় অত্র এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়,রফিকুল ইসলাম রানা (৩২) নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিশ পুনাইল গ্রামের মনসুর হোসেনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। উক্ত রফিকুল ইসলাম রানা তার চাচি দুই সন্তানের জননী রুমানা আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। চাচি ও ভাতিজার প্রেমের খবর জানা জানি হলে গত ৫ বছর আগে রুমানা ও তার স্বামীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে বিবাহ বিচ্ছেদের ৫ বছর পর দুই সন্তানের জননী রুমানাকে ভাতিজা রফিকুল ইসলাম রানা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে। এদিকে রুমানা ভাতিজা রানাকে বিবাহ করার কথা বললে আজ নয় কাল বলে একের পর এক কালক্ষেপণ করতে থাকে। তাই ভুক্তভোগী রুমানা নিরুপায় হয়ে ভাতিজা রানার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। এসময় অভিযুক্ত রানা ও তার পারিবার অনশনরত নারীকে মারধর করে নগদ  টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ফোনে রক্ষিত প্রমাণাদি নষ্ট করে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযুক্ত ভাতিজা রানা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

এতে ভুক্তভোগী রুমানা আক্তার জানায় যে,গত ৫ বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বগুড়া শহরে ও নন্দীগ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে একাধিক আমার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আমার আগের সংসার নষ্ট করেছে বিভিন্ন তালবাহানায়। আমি প্রেমের সম্পর্কে প্রথমে না জড়ালে সংসার ভাংগার হুমকি দিত। এক পর্যায়ে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিন্তু আগের সংসার আমার টিকেনি। এমতাবস্থায় এখন আমাকে যদি রানা বিয়ে না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। আমার পরিবার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে ঘটনা জানার পরে। আমার কোথাও যায়গা নেই যাওয়ার। তাই বিয়ে করে সংসার করবো রানার সাথে। রানা আমার আপন ভাতিজা না তাহলে বিয়ে করতে সমস্যা কোথায়।

অপরদিকে অভিযুক্ত রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম অবস্থায় এই বিষয়টা মিথ্যা বলে দাবি করে,বিভিন্ন ছবির কথা জানালে এডিট বলেও দাবি করে,এক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বিষয়টা স্বীকার করে বলেন তবে আমি বিয়ে করতে পারবো না,এতে আমার জেল ফাঁসি যা হয় হবে।

এসময় ৫নং ভাটগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন,ঘটনাটি আমি শুনেছি একজন নারী বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছে। যদি তাদের মধ্যে সম্পর্ক থাকে বা প্রমাণাদি থেকে থাকে সেক্ষেত্রে ছেলের বিয়ে করাই উচিত বলে জানান তিনি।

এবিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান,এই বিষয়ে কিছুই জানি না,এখনো কেউ অভিযোগ করেনি,তবে বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি,যদি উক্ত ঘটনা সত্য হয়ে থাকে যথাযথ আইনগত বিধি-ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

উপরে