প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:২৮

গরম আর লোডশেডিংয়ে নীলফামারীতে জনজীবন বিপর্যস্ত

জেলা সংবাদদাতা, নীলফামারীঃ
গরম আর লোডশেডিংয়ে নীলফামারীতে জনজীবন বিপর্যস্ত
তীব্র গরম সেইসঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে নীলফামারী জেলায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়ছে। নামাজের সময়েও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় নামাজ আদায় করতে হচ্ছে বিভিন্ন মসজিদে।
 
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে শুধু নীলফামারী জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সৈয়দপুর ২৭ থেকে ৩০- মেগাওয়াট। বর্তমান আছে ১৬ মেগাওয়াট, (ডোমার ডিমলা ১০-আছে ৭)(  জলঢাকা ৪-৫- বর্তমান পাচ্ছে ৩-৪)  কিশোরগঞ্জ ২- বর্তমান পাচ্ছে ১,দের, নীলফামারী সদর ১৮- পাচ্ছে ১৩-বর্তমান  ৩৭%  মেগাওয়াট ঘাটতি থাকছে।
 
জেলায় প্রায় এক লক্ষ ৫০ হাজার গ্রাহকের মধ্যে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে এলাকায়। কোথাও কোথাও দুই ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎবিহীন থাকছে।
 
সৈয়দপুর শহরে জুম্মা পাড়া এলাকায় নামাজ পরতে আসা কয়েকজন মুসল্লী জানান, 'প্রতিদিন ১ থেকে দেড় ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।  নামাজের সময়ও বিদ্যুৎ থাকছে না , এর ফলে ভোগান্তি বেড়েছে। সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সেই সাথে প্রয়োজনের সময়ে বিদ্যুৎ থাকছে না।'
 
সৈয়দপুর ১০০ সয্যা হাসপাতালের রুগী র স্বজনরা  জানান কোনো রকম আগাম ঘোষণা না দিয়ে হাসপাতালেও লোডশেডিং করা হচ্ছে। এর ফলে রোগীদের কষ্ট বেড়েছে।
নীলফামারী নেসকোর অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী আলিমুল ইসলাম সেলিম  জানান একে তো তাপমাত্রা বেড়েছে, সময়ের চাহিদা মতো বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। আর চাহিদা অনুযায়ী জোগান না থাকায় সরবরাহ করা যাচ্ছেনা এ সমস্যা সাময়িক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরাদ্দ কম থাকায় সংকটের কারণে সমস্যা দেখা দিয়েছে। সংকট শিগগির কেটে যাবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, তাপপ্রবাহের  কারণে এসিসহ বিদ্যুৎ ব্যবহার আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে, এর ফলে পিক আওয়ারে বিদ্যুৎ চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে, কিন্তু চাহিদার বিপরীতে অন্তত ৩৭% ভাগ বিদ্যুৎ কম সরবরাহ থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া বিভাগের মতে,গত এক সপ্তাহে অন্তত দুই দিন সৈয়দপুরে ওপর তাপপ্রবাহ বয়ে গিয়েছে। আবহাওয়া অফিস সৈয়দপুর কর্মকর্তা মো. লোকমান হাকিম জানান, গতকাল রবিবার থেকে সৈয়দপুরে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বর্তমান আছে।
উপরে