প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:১১

বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, খোলা হয়েছে সবকটি জলকপাট

মোঃ মাইনুল হক, নীলফামারীঃ
বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই তিস্তার পানি, খোলা হয়েছে সবকটি জলকপাট
উজানে পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে বেড়েই চলছে তিস্তা নদীর পানি। এরই মধ্যে পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আবারও বন্যার আশঙ্কা করছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। 
 
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ০০ সেন্টিমিটার যা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। বেলা ১২টায় বিপৎসীমার ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।
 
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার কয়েকটি চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে চর ও নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমিসহ চলাচলের সড়ক। রাতে পানি বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এতে ক্রমশই বাড়ছে দুর্ভোগ।
 
ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বুদারু মিয়া (৩৫) বলেন, নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। আমাদের রাত জেগে থাকতে হবে। কখন যে কি হয় ঠিক নেই।
 
ছাতুনামা কেল্লাপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, দুপুরে বাড়ির উঠানে পানি প্রবেশ করেছে। আর একটু পানি বৃদ্ধি পেলেই বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে।
 
এ প্রসঙ্গে ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সহিদুজ্জামান সরকার বলেন, বাইশ পুকুর এলাকায় প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘরের পানি উঠেছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে। সেই সঙ্গে ফসলি জমিতে পানি ওঠায় নষ্ট হচ্ছে আগাম শীতকালীন শাকসবজি ও আবাদি বিভিন্ন ফসল। 
 
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, গত দু'দিন ধরে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করলে আজ সকাল ৯টায় তা বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
 
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখার উপ-প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানির চাপ সামলাতে তিস্তা ব্যারাজের সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
উপরে