প্রকাশিত : ৪ অক্টোবর, ২০২৪ ২২:০২

সাঘাটায় আব্দুল্লার পাড়ায় দর্জি ভিলেজে বদলে গেছে ১৫০ নারীর ভাগ্যের চাকা

নূর হোসেন রেইন, সাঘাটা গাইবান্ধাঃ
সাঘাটায় আব্দুল্লার পাড়ায় দর্জি ভিলেজে বদলে গেছে ১৫০ নারীর ভাগ্যের চাকা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার প্রতন্ত গ্রাম অঞ্চল আব্দুল্লার পাড়া গ্রামে ১৫০ জন  হত দরিদ্র নারী দর্জির কাজ করে  ঘুরে দাঁড়িয়েছেন,হয়েছেন স্বাবলম্বী, পাল্টে গেছে তাদের সংসারের চিত্র।

জানাগেছে,গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা  উপজেলার জুমারবাড়ি ইউনিয়নের আব্দুল্লার পাড়া গ্রাম। এ গ্রামে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি, গ্রামের হত দরিদ্র তহমিনা বেগম কাজ করতেন ঢাকায় একটি পোশাক তৈরি গার্মেন্টস কারখানায় তাতেই ভাগ্য ফিরে তার। ২০১৯ সালে করোনা মহামারীতে কারখানা বন্ধ হয়, তহমিনার মত অনেক নারী ফিরে আসেন গ্রামে। কূলকিনারা না পেয়ে সাঘাটা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের বিআরডিবির গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে তাহমিনার মতো আরও কয়েকজন নারী মিলে প্রশিক্ষণ শেষে পাওয়া টাকা ও সেলাই মেশিন নিয়ে ১৫০ জন হতদরিদ্র মহিলা  সংগঠিত হয়ে আব্দুল্লার পাড়া গ্রামে গড়ে তোলেন দর্জিপল্লী পোশাক কারখানা । কাজের মান ভালো হওয়ায় এ পল্লীর খবর পৌঁছে যায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অর্ডার আসতে থাকে,শার্ট পাঞ্জাবি থ্রি পিস সহ নানা ধরনের পোশাকের। নারী উদ্যোক্তাদের সাথে কাজ করে সংসারের চেহারা পাল্টে গেছে এসব নারীর, সংসারে এসেছে স্বাচ্ছন্দ,  নেই অভাব অনটন, প্রতিমাসে ইনকাম করছেন ১২ হাজার  থেকে ১৫ হাজার টাকা।  সাঘাটা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের গাইবান্ধা সমন্বিত পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে  উপজেলায়  প্রায় ১ হাজার   মহিলা ও পুরুষ সেলাই, এমব্রয়ডারি,  প্রাণিসম্পদ ও ব্লকবাটিকে  প্রশিক্ষণ  নিয়ে আজ তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন। 
উদ্যোক্তা তহমিনা বলেন, আমি আগে ঢাকায় ছিলাম গার্মেন্টসে চাকরি করতাম করোনা কালীন সময়ে আমাদের গার্মেন্টস বন্ধ হয়। বিআরডিবির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৫০ জন মিলিত হয়ে দর্জি ভিলেজ দিয়ে এখন আমরা সাবলম্বী হয়েছি। 
উদ্যোক্তা মোঃ রুনু মিয়া বলেন, ঢাকা, বগুড়া রংপুর সহ বিভিন্ন স্থান থেকে কাজের অর্ডার নিয়ে এ দর্জি পল্লী থেকে কাজ করে সময়মতো সরবরাহ  করে থাকি। এতে আমি সফলতা পেয়েছি। 
সাঘাটা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ সামিউল ইসলাম বলেন, বিআরডিবি গাইবান্ধা সমন্বিত  পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ  প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২২—২৩ অর্থ  বছরে ১০ টি ব্যাচে ২০০ জনকে  সেলাই, এমব্রয়ডারি, প্রাণী সম্পদ ও ব্লক বাটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মোট বরাদ্দ হয়েছিল ৪৫ লক্ষ টাকা। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইসাহাক আলী  বলেন, সাঘাটায় আব্দুল্লার পাড়ায় দর্জি ভিলেজে কাজ করে ১৫০ নারী আজ স্বাবলম্বী হয়েছেন। বর্তমানে গাইবান্ধা সমন্বিত  পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ প্রকল্পটি বন্ধ রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এ প্রকল্প আবার চালু হয়। এ প্রকল্প চালু হলে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বদলে যাবে ভাগ্যের চাকা।

উপরে