প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ ০২:১৭

আত্রাইয়ে সোঁতি জাল দিয়ে মাছ ধরতে নদীর বাঁধ কাম সড়ক ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ

জেলা সংবাদদাতা, নওগাঁঃ
আত্রাইয়ে সোঁতি জাল দিয়ে মাছ ধরতে নদীর বাঁধ কাম সড়ক ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ
 নওগাঁর আত্রাইয়ে নিষিদ্ধ সোঁতি জাল  দিয়ে মাছ ধরতে নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কাম সড়ক ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ  ওঠেছে। উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের নাগর নদীর লালপাড়া এলাকায় বাঁধ কাম 
সড়ক কেটে দেয়ার এঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় সড়ক দিয়ে চলাচল করতে না  পারায় চরম দুর্ভোগে পরেছে এলাকাবাসী। ফলে প্রতিকার পেতে বুধবার নওগাঁ  পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ  দিয়েছে এলাকাবাসী।
 
জানাগেছে.আত্রাই উপজেলার পুর্বাঞ্চলের শেষপ্রান্ত নাগর নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রন  বাঁধ কাম সড়কই একমাত্র চলাচলের রাস্তা। এই রাস্তা দিয় হেঙ্গলকান্দি,লালপাড়া  এবং ধর্মপর এলাকার লোকজন চলাচল করেন। চলতি বন্যায় সোঁতি জাল দিয়ে মাছ  ধরতে লালপাড়া গ্রামের বেশ কিছু লোকজন গত ১১অক্টোবর দিনগত রাতে  লালপাড়ার পূর্ব দিকে কোদাল দিয়ে প্রায় দেড়শ ফিট বাঁধ কাম সড়ক কেটে 
ভেঙ্গে দেয়। এসময় ধর্মপুরের লোকজন জানতে পেরে ছুটে এসে বাঁধা দিতে  গেলে তাদের উপর চড়াও হয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে তারিয়ে দেয়।  বাঁধ কাম সড়ক ভেঙ্গে দেয়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে পরেছে ধর্মপুর-লালপাড়া গ্রামের  বাসিন্দাদের। এঘটনার সুষ্টু প্রতিকার পেতে বুধবার নওগাঁ পানি উন্নয়ন  বোর্ড বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। ধর্মপুর গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা, আমানুর রহমানসহ অনেকেই  জানান,ধর্মপুর থেকে বের হবার একমাত্র রাস্তা এই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ কাম 
সড়ক। লালপুরের লোকজন সেখানে শুধুমাত্র নিষিদ্ধ সোঁতি জাল দিয়ে মাছ ধরতেই  বাঁধ কাম সড়ক ভেঙ্গে দিয়েছে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের সাথে  চরমভাবে খারাপ আচরণ করেছে এবং বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তারা  বলছেন, যেহেতু লালপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়েই আমাদের চলাচল করতে হয় তাই  গ্রামের লোকজন ভয়ে তেমন কিছু বলতেও পারছেনা। এছাড়া লালপাড়াতে সরকারী  প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে,সেখানে আমাদের সন্তানরা পড়া লেখা করে। এখন  বাঁধ কাম সড়ক ভেঙ্গে দেয়ায় একদিকে যেমন সন্তানরা স্কুলেও যেতে পারছেনা  অন্যদিকে আমরাও চলাচলে চরম দুর্ভোগে পরেছি। তাই তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তারা। 
 
লালপাড়া গ্রামের গ্রাম কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার বলেন,বন্যায়  বিভিন্ন এলাকা থেকে কচুরিপানা ভেসে এসে প্রায় দেড়/দুইতশত বিঘা  জমি ভরাট হয়ে গেছে। মাছ ধরতে নয়,জমি পরিষ্কার করতে কচুরিপানা নদীতে  ভেসে দেয়ার জন্যই বাঁধ কাম সড়ক ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এবং সেখানে পারাপারের  জন্য একটি নৌকার ব্যবস্তা করা হয়েছে। 
 
এব্যাপারে নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাহাবুব  আলম বলেন, লালপাড়া গ্রামের লোকজন মাছ ধরতে বারবার ওই স্থানে বাঁধ কামসড়ক ভেঙ্গে দেয়। আমরা নিষেধ করলেও শোনেনা। এঘটনায় বুধবার একটি লিখিত  অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপরে