প্রকাশিত : ১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:২২

সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকের ভির, ব্যবসা বানিজ্যে গতি ফিরছে

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া, পটুয়াখালী
সাগরকন্যা  কুয়াকাটায় পর্যটকের ভির, ব্যবসা বানিজ্যে গতি ফিরছে
সূর্যোদয় সূর্যাস্তের বেলাভূমি পর্যটন নগরী সাগরকন্যা কুয়াকাটায় পর্যটকদের আগমনে অনেকদিন পর্যন্ত স্থবির হওয়া ব্যবসা বানিজ্যে গতি ফিরতে শুরু করছে।  স্থবির হয়ে পড়া সকল কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হয়ে ব্যস্থতা বেড়েছে পর্যটন নির্ভর সকল ব্যবসায়ীদের মাঝে। শীতের শুরুতেই পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে কুয়াকাটায়।
 
শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং শ্যামাপূজা বা কালীপূজা ছুটি থাকায়, কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে আশেপাশের ১কিঃমিঃ জায়গা জুড়ে পর্যটকদের হৈ-হুল্লোড়। সমুদ্রের বুকে কেউ ঝাঁপিয়ে পড়ছে কেউ বা আবার দলবেঁধে সাতার কাটছে। আনন্দ উপভোগের দৃশ্য স্মৃতিপটে ধারণের জন্য কেউ বা আবার ছবি তুলছে।
 
অন্যদিকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় ব্যস্থতা দেখা গেছে  কুয়াকাটার সকল রেস্তোরাঁসহ পর্যটননির্ভর সকল  ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। হোটেল মোটেলের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে তাদের আবাসিক হোটেলে বুকিং ভালো আছে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে স্বস্তি ফিরছে। তাদের আশা এখন  থেকে এমন  পর্যটকদের আনাগোনা থাকলে তাদের সংকট কাটিয়ে উঠবে খুব শ্রীঘ্রই। 
 
সৈকতে চা বিক্রেতা মো. সোহরাফ বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে চোখে পড়ার মত পর্যটক কুয়াকাটায় আসছে। বেঁচা বিক্রি বাড়তে শুরু করছে।
 ক্যামেরাম্যান আলমাছ  বলেন, গত সপ্তাহ থেকে মোটামুটি  পর্যটক আসতে শুরু হয়েছে।  আজ ভালোই পর্যটক বাড়ছে। আমরা আমাদের সংকট কাটাতে পারব।
আচার বিক্রেতা মো.রহিম মিয়া বলেন, পর্যটকরা এখন বেশি ক্রয় করেনা। শুধুই ঘুরে ফিরে চলে যায়। তবে আগের চাইতে বিক্রি বাড়ছে।
 
সৈকত লাগোয়া খাবার হোটেলর ব্যবস্থাপক মো. সেলিম মিয়া বলেন, বর্ষা সিজনে বেচা কিনা খুবই খারাপ ছিল । শুক্রবার থেকে ভালোই বিক্রি করতে পারছি। আজ আরো বাড়ছে।  এখন আমাদের দুশ্চিন্তা কাটবে। 
 সৈকত সংলগ্ন কাপড় ব্যবসায়ী মো. খলিল বলেন, বেঁচা কিনি নাই বিগত দেড় মাস ধরে।এখন কিছু পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে আশা করছি দ্রুতই স্বরুপে ফিরবে আমাদের ব্যবসা বানিজ্য।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক বনিয়ামিন বলেন,  আমরা বন্ধুরা সাতজন এই কুয়াকাটায় প্রথম আসলাম, সবই মোটামুটি ভালো লেগেছে। তবে কলাপাড়া আর কুয়াকাটার মাঝখানের ১০-১২ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। এটা জরুরী মেরামত করা দরকার। নাহয় এই রাস্তার কারনে যাহারা একবার আসবে তারা পরবর্তীতে আর আসবেনা।এ নভেম্বর মাসের মধ্যে রাস্তাটি মেরামত করা খুবই জরুরী। কারন সামনে পর্যটন মৌসুম।
 
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসেসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ  মোতালেব শরীফ বলেন,বাড়তে শুরু করছে পর্যটক। আসা করছি এখন  থেকে আর পর্যটক খরায় পড়তে হবে না। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক হচ্ছে তার সাথে পর্যটকের আগমন ঘটেছে। 
 
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের  পুলিশ সুপার একে আজাদ বলেন, আমরা সম্পূর্ণভাবে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রস্তুত। দেশে চলমান অস্থিরতা কেটে যাওয়ার ফলে পর্যটক বাড়ছে কুয়াকাটায়। তাদের নিরাপদ ভ্রমনে যা যা করা দরকার তা সবি করা হবে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। 
 
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসন ও কমিশনার (ভূমি)  মো: কৌশিক আহমেদ বলেন, আমরা পৌর কতৃপক্ষ, মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ পর্যটকূের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক প্রস্তুত আছি। 
উপরে