বগুড়ার শেরপুরে মামলার দায় অস্বীকার করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের সংবাদ সম্মেলন
বগুড়ার শেরপুর শহরের ধুনটরোড এলাকায় গত ১৭ জুলাই ছাত্র জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় গত শনিবার (২ নভেম্বর) শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকার টোলা গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে মো: রিফাত সরকার (২২) বাদী হয়ে ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
তবে এই মামলাটি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের কোন মামলা নয় উল্লেখ করে রবিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে শেরপুর উপজেলা পরিষদ (নবনির্মিত) হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শেরপুর উপজেলা শাখার সমন্বয়করা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, সমন্বয়ক জাহিদ সরকার, তানভির তুষার, রাশেদ সাদাত, আনোয়ার হোসেন, আরাফাত রহমান মিলন, সাদিকুর রহমান অয়ন, মো. রায়হান, বুলবুল আহমেদ, নাজমুল হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, ওহেদুল হাসান প্রত্যয়, হিমেল, শাহরিয়ার মামুন, মুজাহিদ পারভেজ, আব্দুল মোমিন, নাজমুল হাসান, শেখ সোহানী, সাইরিন রিদা, সোনালী আক্তার, নাইমুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, গত ১৭ জুলাই সকালে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের ধুনট মোড়ে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা, টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও গুলি করে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আন্দোলনকারী ও সাধারণ মানুষ গুরুতর আহত হন।
এ ঘটনায় শেরপুর থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় ৭ জন আন্দোলনকারী গ্রেফতার হয়ে ২১ দিন কারাগারে ছিলেন। এর মধ্যেই গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে সরকারের নির্বাহী আদেশে সেই মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
একই ঘটনায় শেরপুরে রিফাত সরকার (২২) ২ নভেম্বর শেরপুর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
তারা বলেন, রিফাত আমাদের ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ১৭ জুলাই তিনিও পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। কিন্তু এই মামলার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তিনি আলোচনা করেননি। এটি রিফাতের ব্যাক্তিগত মামলা, তাই এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
তারা আরও বলেন, পুলিশের মামলায় গ্রেফতারকৃত একজন ছাত্রের বাবাকেও এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। নিপিড়ীতদের মধ্যে থেকে যে কেউ মামলা করতে পারে। কিন্তু একটি ঐতিহাসিক ঘটনায় উদ্দেশ্যমূলক মামলা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা উদ্বেগজনক। তাই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা পরিচালনা করার আহŸান জানান তারা।