প্রকাশিত : ৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:০১

নাটোরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার ৩ বছর পর এফআরআই এর নির্দেশ আদালতের

নাটোর জেলা সংবাদদাতাঃ
নাটোরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার ৩ বছর পর এফআরআই এর নির্দেশ আদালতের

নাটোরের সিংড়ায় বসতবাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার ৩ বছর পর থানা পুলিশকে অভিযোগটি এফআই আর হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার(৬ নভেম্বর) নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সুমন আলী এ নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়া মানলাটি দ্রুত নিয়মিত মামলা হিসেবে নিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তানজিল সিদ্দিক তনাল। ভূক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির(৮০) জেলার সিংড়া উপজেলার বিয়াশ গ্রামের মৃত মাফের ফকির এর ছেলে। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামী একই গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে হিরুক সরকার (৩৫)। অভিযুক্তরা স্থানীয় আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। 

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে ভুক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির জানান,পূর্ব শত্রুতার জেরে ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী নাটোরের সিংড়া উপজেলার বিয়াশ গ্রামে হিরুক সরকার ও সহযোগীরা বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আবুল হোসেন ফকির এর বাড়ীতে হামলা চালায়। এসময় আসানীরা তার বসবাসের টিনের ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। একই সময় তারা আবুল হোসেন ফকির ও প্রতিবেশীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে টিভি,ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ অর্থ লুট করে নেয়। ভুক্তভোগী দাবি করেন, প্রতিপক্ষের হামলায় তারা মোট ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হন। এঘটনায় সে সময় আবুল হোসেন সিংড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রতিকার পান নি। এছাড়া থানায় মামলা দেয়ায় প্রতিপক্ষের লোকজন পুনরায় আবুল হোসেনকে প্রাণনাশসহ নানা ভয়ভীতি দেখায়। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় আসামীদের কাউকে গ্রফতার করতে পারেনি পুলিশ। এমতাবস্থায় গত মঙ্গলবার ৬ নভেম্বর আদালতের স্বরনাপন্ন হন ভুক্তভোগী আবুল হোসেন। ভুক্তভোগীর মামলায় ২৪ জনকে আসানী করা হয়। 
আদালত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখার পর ৫ নভেম্বর মঙ্গলবার থানা পুলিশকে মামলাটি এফআইআর হিসাবে নিতে নির্দেশ প্রদান করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট -১ আদালতের বিচারক সুমন আলী। 
ভূক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে প্রতিপক্ষরা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার ও প্রতিবেশীর ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এতে আমারা প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হই। তারা রাজনৈতিক প্রভাবশালী হওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন প্রতিকার পাইনি। অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। সর্বশেষ ন্যায় বিচার পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।। 
 মামলার আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী তানজীল সিদ্দিক তমাল জানান,বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনায় ভুক্তভোগী আবুল হোসেন ফকির ঘানায় অভিযোগ দায়ের করলেও কোন প্রতিকার পাননি। পরে আদালতে অভিযোগ দাখিল করলে আদালত বাদীর বক্তব্য শ্রবন ও ঘটনার সময় করা ভিডিও ফুটেজ দেখেন। আদালত এই ঘটনায় অভিযোগটি এফআইআর হিসাবে নিতে থানা পুলিশ কে নির্দেশ দেন।  
উপরে