প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:২২

রংপুরে ০৬ দফা দাবী বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুরঃ
রংপুরে ০৬ দফা দাবী বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

স্বাস্থ্যসেবায় রোগ নির্ণয়সহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী শিক্ষাব্যবস্থা ও পেশার নানাবিধ বৈষম্য দূরীকরণে ০৬ দফা দাবী বাস্তবায়ন ও দেশের আপমর জনসাধারণের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ । গতকাল (১১ নভেম্বর) সোমবার সকাল ১০টায় রংপুর বিভাগীয় ( স্বাস্থ্য) এর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন,  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএসসি ইন মেডিকেল/হেলথ টেকনোলজি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ কর্তৃক পরিচালিত মেডিকেল টেকনোলজি বিভিন্ন অনুষদ ও বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল কর্তৃক পরিচালিত ডিপ্লোমা ইন ফার্মেসী শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত আংবানে- ৬ দফা এ পেশার মুক্তির আলোকবর্তিকা যা রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রীক আকাঙ্খা পূরণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় বলে বিশ্বাস করি। 'জুলাই বিপ্লব' নামে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত গণঅভ্যুত্থান, সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার যে আশা সঞ্চার করেছে তাতে জনগণ তাদের অন্য সব অধিকারের পাশাপাশি উন্নত ও সর্বজনীন চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তিরও স্বপ্ন দেখছেন। স্বাস্থ্যসেবাকে গণমুখী করতে চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পেশাগত সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। স্বাস্থ্যসেবা একটি 'টিম ওয়ার্ক' যেখানে চিকিৎসক, নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীদের সেবাদান কার্যক্রমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিই রোগ নির্ণয়, যার দায়িত্ব পালন করেন মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণই অথচ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পরও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিমাতৃসুলভ মনোভাব ও সদিচ্ছার অভাবে নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এ পেশা এবং রাষ্ট্র তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি। বৃহৎ এক পেশাজীবী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট জনগোষ্ঠির পরিচালনা, বদলি, পদোন্নতি, পেশাগত কল্যাণ ও অন্যান্য দেখভালের জন্য কোন স্বতন্ত্র পরিদপ্তর নেই।  যা নিতান্ত দুঃখজনক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাইডলাইন অনুযায়ী ১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকার আবশ্যকতা থাকলেও সরকারি চাকরিতে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা মাত্র ৫ হাজারেরও কম অথচ তা হওয়ার কথা ছিল ৮০ হাজারেরও বেশি। এমনকি ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষার উচ্চশিক্ষা হিসেবে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত বিএসসি ইন মেডিকেল/হেলথ টেকনোলজি সনদধারী গ্র্যাজুয়েটদের জন্য অদ্যবধি কোন প্রকার পদসৃজন ও পদায়ন করা হয়নি।

উপরে