অটো মিলে বীজ আলুর প্যাকিং ভ্রাম্যমানে জরিমানা
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কোল্ড ষ্টোরেজের লোকাল আলু বীজ আলু হিসেবে প্যাকিং করার সময় হাতে নাতে ধরলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড। উপজেলার শাখারুঞ্জ ত্রিমুহনী বাজারে মা রাজিয়া অটো রাইচ মিলে শনিবার রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ ত্রিমুহনী বাজারে মা রাজিয়া অটো রাইচ মিলের মালিক বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার নান্দ্ররা গ্রামের দুলু মিয়া।
ওই মিলে গত শনিবার রাত ৯টায় ২৫০ বস্তা লোকাল আলু বোঝায় একটি ট্রাক মিলের ভিতরে নেওয়া হয়েছে। ওই আলু রাতভর বিভিন্ন সীড কোম্পানির মোড়কে প্যাকিং করে বাজারে বীজ হিসেবে বিক্রয় করা হবে। এমন সংবাদ পেয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসুম ও এসিল্যান্ড জিন্নাতুল আরা পুলিশ ফোর্স নিয়ে ওই রাইচ মিলে যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ওই মিলের গুদামে ২৫০ বস্তা লোকাল আলু বোঝায় এক ট্রাক দেখতে পায়। মিলের ম্যানেজার ও ট্রাক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, মালিক কোল্ডষ্টোর থেকে আলু কিনে পাইকারী মোকামে পাঠিয়েছিল। আলুর গুনগত মান খারাপের জন্য খুচরা বাজারে বিক্রি হয়নি। সে জন্য আলুগুলি ফেরত নিয়ে এসে মিলের চাতালে ফেলে নষ্ট আলুগুলি বাছাই করে আবার বাজারে পাঠাতে বলেছে। তাদের কথার সত্যতা না পাওয়ায় নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড তাৎক্ষনিক মোবাইল কোর্ট বসিয়ে ওই মিলের ম্যানেজার শরিফুল ইসলামের ২০ হাজার এবং ড্রাইভার নাফিউল ইসলামেন ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জব্দকৃত আলুগুলি কারও জিম্মায় না রেখে ওই মিলে রেখে চলে আসে তাঁরা। এনিয়ে এলাকার জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
শাখারুঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম বলেন, বর্তমান এঅঞ্চলে আলু বীজের সংকট চলছে এ সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র লোকাল আলু গোপনে উন্নত জাতের সীড কোম্পানির মোড়কে বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। ধরতে না পারলে কত অসহায় কৃষকের ক্ষতি হত তা বলা মুসকিল। তবে ইউএনও স্যার মাত্র কয়েকটা টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিলেন। ওই অপরাধীদের মোটা অংকের টাকা জরিমানা ও জেল দেওয়া উচিত ছিল।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে তাবাসুম এর নিকট দৈনিক যুগান্তর জানতে চেয়েছিলেন ওই আলুগুলি জব্দ করে কার জিম্মায় রাখা হয়েছে তিনি বলেন আমার সঙ্গে এসিল্যান্ড ছিলেন তার সঙ্গে কথা বলেন।
এসিল্যান্ড জিন্নাতুল আরা বলেন, অভিযান চালিয়ে অটো রাইচ মিলে আলু বোঝায় একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। আলুর মালিককে ডেকে নিয়ে স্থানীয় খোলা বাজারে খুচরা মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।