প্রকাশিত : ১৭ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:০১

পলাশবাড়ীতে প্রকৃতির অপরুপ সাজে সেজেছে কচুরি ফুল

সিরাজুল ইসলাম রতন,পলাশবাড়ী, গাইবান্ধাঃ
পলাশবাড়ীতে প্রকৃতির অপরুপ সাজে সেজেছে কচুরি ফুল
গাইবান্ধা জেলা পলাশবাড়ী উপজেলা কিশোরগাড়ী ইউনিয়নর বেলাডাঙ্গা গ্রাম এলাকার প্রতিটি খাল-বিল বাড়ির পাশের ডোবায় ফুটছে দৃষ্টিনন্দন কচুরি ফুল। এ অবহেলিত উদ্ভিদে এত নয়নাভিরাম মনোমুগ্ধকর চিত্তাকর্ষক ফুল যা প্রকৃতি প্রেমীদের বিমুগ্ধ না করে পারে না। প্রতিটি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন জাতের বিভিন্ন রঙের কচুরি ফুল ফোটে বিভিন্ন ঋতুতে। ফসলহীন মাঠ জুড়ে রাস্তায় পাশে জমে থাকা পানিতে কচুরি ফুলের সমাহার।
 
১৬ নভেম্বর শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা কিশোরগাড়ী ইউনিয়নর সুলতানপুর,কেশবপুর,বেঙ্গলীয়া,বেলাডাঙ্গা, গ্রাম সহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ডোবা নালা, বিল ঝিলে কচুরিপানার ফুল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে চলেছে। সৌন্দর্যের পাপড়ি মেলে ধরা কচুরিফুলের এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে এই কচুরিপানার সৌন্দর্য্য দেখতে আসা তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমাচ্ছে। ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা জলাশয় থেকে কচুরিপানার ফুল তুলে খেলা করছে। শুধু তাই নয় শিশু কিশোর, তরুণ-তরুণীর মতোই রাস্তায় হেটে যাওয়া বয়োবৃদ্ধাদের ও নয়ন কাড়ে এই কচুরি ফুল।
 
পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক জানান,কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের অনেক ডোবা-নালা,পুকুর,বিল রয়েছে । প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কাচুরি পানার ফুল ফুটে এক অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলেছে এলাকাকে। তাই পায়ে হাটা বিভিন্ন বয়সীর মানুষ থমকে দাড়ায়,তাকিয়ে থাকে ফুটন্ত ফুলের দিকে।
 
পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, কচুরিপানা খুব দ্রুত বংশ বিস্তার করে। কচুরিপানা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর মনে হলেও কৃষিক্ষেত্রে এর যথেষ্ট উপকারিতা রয়েছে। কচুরিপানা থেকে এখন তৈরি হচ্ছে জৈব সার। ফলে কৃষক ফসল উৎপাদনে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
উপরে