গাবতলীতে অবৈধভাবে জ্বালানী তেল বিক্রির অভিযোগ
বগুড়া গাবতলীর নাড়–য়ামালায় সরকারকে আয়কর ফাঁকি দিতে অবৈধভাবে ডিসপেন্সার বসিয়ে জ্বালানী তেল বিক্রির অভিযোগ এনে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে, বগুড়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, গাবতলীর ইউএনও এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উর্ধতন দপ্তরে।
থানায় লিখিত অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, গাবতলীর নাড়–য়ামালা হাটের উত্তরধারে আবু বক্কর সিদ্দিক নামের জনৈক এক ব্যক্তি মেসার্স জামি ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসিয়ে অয়েল কোম্পানীর চূড়ান্ত অনুমোদন না নিয়ে ডিসপেন্সার বসিয়ে ফিলিং ষ্টেশন বানিয়ে অবৈধভাবে দেদারছে জ্বালানী তেল বিক্রি করছে। এতে করে বৈধ ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিস্ফোরক অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি। স্থাপনাটি জনবহুল এলাকায় হওয়ায় যেকোন সময় বিস্ফোরন ঘটতে পারে। ঘটতে পারে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। ওই রকম তেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গাবতলীতে আরো দুটি জায়গায় রয়েছে। একটি হলো নেপালতলী বাজারে কাজী সাইফুল ইসলামের মেসার্স সমীর এন্ড সাফি ফিলিং ষ্টেশন এবং গোলাবাড়ী বাজারে মোঃ নাইচ এর মেসার্স নুরুল ইসলাম এন্ড সন্স। উল্লেখিত ৩টি তেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার অনেক আয়কর বঞ্ছিত হচ্ছে। তবে নাড়–য়ামালার তেল ব্যবসায়ী আবু বক্কর সিদ্দিক দাবী করেন, সকল নিয়ম-নীতি মেনেই জ্বালানী তেল বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে থানার ওসি আশিক ইকবাল বলেন, এ ব্যাপারে গাবতলীর খাদিজা ফিলিং ষ্টেশন এবং বগুড়া সদরের মহতী ফিলিং ষ্টেশন লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।