নাটোরে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রাইভেট শিক্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নাটোরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে প্রাইভেট শিক্ষক হযরত আলী(৪২)'র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষনা করেন। দন্ডিত হযরত আলী সদর উপজেলার বাগরুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নাটোর সদরের বাগরুম গ্রামের ১০ বছর বয়সী ভিকটিম স্থানীয় ব্র্যাক শিশু নিকেতনের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২৮ সালের ৮ জুলাই বরাবরের মতো দুপুরের পর অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে প্রাইভেট পড়তে যায়, ব্র্যাক শিশু নিকেতনের শিক্ষিকা সুফিয়া খাতুনের স্বামী হযরত আলীর কাছে। প্রাইভেট পড়া শেষে শিক্ষক হযরত আলী শিশু নিকেতন থেকে শিশুটিকে পরীক্ষার প্রশ্ন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে তার বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ১২ জুলাই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বলে। এরপর শিশুটির বাবা হযরত আলীকে আসামী করে নাটোর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে। মামলা দায়ের করেন। মামলার রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের জানান, ২০১৮ সালের এই শিশু ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামি হযরত আলীর উপস্থিতিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।