প্রকাশিত : ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০২:৩৪

পলাশবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া -আহত-১০।। ভাংচুর অগ্নিসংযোগ

উপজেলা সংবাদদাতা, পলাশবাড়ী, গাইবান্ধাঃ
পলাশবাড়ীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াত ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া -আহত-১০।। ভাংচুর অগ্নিসংযোগ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিএনপি ও জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ৮টি মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়ার ঘটনার সময় পথচারী ও ব্যবসায়ীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
 
২০ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের গেটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে উভয় দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হলে চৌমাথা মোড়ে ঘটে ধাওয়া-পাল্টা। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
 
পরে দেশীয় অস্ত্রহাতে চৌমাথা মোড়ের রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে মহড়া দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে সেনাবাহীনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এসময় নেতাকর্মীরা সড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
 
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামায়াতপন্থী রাহিদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের বিরোধের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
 
এদিকে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘট্নায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীসহ অনেকেই ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসময় দ্রুত দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন ব্যবসায়ীরা। তবে ঘটনার সময় পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
 
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা জানিয়ে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ  জুলফিকার আলী জানান, বর্তমানে পুলিশ ও সেনাবাহীনির টহল জোরদারের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত কোনো দলের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি।
 
তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উপরে