প্রকাশিত : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:০৮

গোবিন্দগঞ্জে ২৬ বছর ধরে শ্মশানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন

গাইবান্ধা সংবাদদাতাঃ
গোবিন্দগঞ্জে ২৬ বছর ধরে শ্মশানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শশ্মানের বরাদ্দকৃত অর্থ আতœসাৎ ও শ্মশানের পুকুর ইজারা নিয়ে কমিটির সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। 

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের আলীগ্রাম কোচ পুকুর শ্মশানের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিন গ্রামের শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী মানববন্ধনে অংশ নেন।
এসময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন - পরিমল চন্দ্র শীল, সালাম রনি, নাগর চন্দ্র, শ্যামলী রানী, নিপা রানী, অপন রায়, অসীম মহন্ত, দোয়েল মালি, বিপুল দেবনাথ প্রমুখ।
মানববন্ধনে এলাকাবাসী জানায়, ২৬ বছর আগে তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান ও থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মন্ডল অত্র এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মরদেহ সৎকার করার জন্য কোচ পুকুর শ্মশান ঘাঁটি হিসাবে ইউএনও অফিস ও ভ‚মি অফিস থেকে সরকারি ইজারার মাধ্যমে পুকুরসহ খাস জমির ব্যবস্থা করে দেন। পরবর্তীতে শ্মশানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে শ্মশানের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে আসলেও প্রকৃতপক্ষে শ্মশানের কোন উন্নয়ন হয়নি। এমনকি বছরের পর বছর ধরে শ্মশানের একমাত্র পুকুরটি কমিটির সভাপতি তারক শীল স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে তার লোকদের ইজারা দিলেও সেই অর্থের কোন হদিস নেই। এ ব্যাপারে তারক শীলের কাছে কেউ জবাবদিহি চাইলে তিনি তাকে হামলা ও মামলায় জড়িয়ে বিভিন্নভাবে ভয় দেখান। এসব হয়রানির ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসী চুপ থাকলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে এলাকাবাসী শ্মশানের টাকা আতœসাৎকারী ও দূর্নীতিবাজ সভাপতি তারক শীল, তার দোসর গৌড় চন্দ্র শীল, ভজন চন্দ্র শীল, বিনয় দেবনাথ, অনাথ বেদনাথ, চিত্তরঞ্জন মহন্তসহ উক্ত কমিটির সকল সদস্যদের কমিটি থেকে অব্যহতি প্রদান ও শাস্তি দাবি করেন।
তারা আরও জানান, এই শ্মশান প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে কোন উন্নয়ন হয়নি। এখানে মরদেহ সৎকারের জন্য পুকুর ঘাট, চুল্লী, কালী মন্দির, শিব মন্দির, টিনের ছাউনির ব্যবস্থা নেই। এসব অবকাঠামো নির্মাণের জন্য প্রতি বছর সরকার থেকে যে বরাদ্দ এসেছে, তার পুরোটাই তারক শীলসহ শ্মশান কমিটির লোকজন আতœসাৎ করেছে। সরকার পরিবর্তন হলে এরা রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করে নিজেদের ক্ষমতার দাপট দেখায়। এদের ভয়ে তিন গ্রামে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষ কোনঠাসা। তাই এলাকাবাসী এই মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ২৬ বছরের পুরাতন শ্মশান ঘাটি কমিটি বাদ দিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নতুন কমিটি গঠন করতে চান।

উপরে