সোনাতলায় দাদন ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে এক পরিবার নিঃস্ব : ইউএন বরাবর অভিযোগ
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার এক পরিবার দাদন ব্যবসায়ী শামীম আকতার রতনের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। দাদনের টাকা পরিশোধ করার পরও শামীম আকতার রতন আরো দুই লাখ টাকা দাবি করছেন, যার ফলে ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দাদন গ্রহীতা মো. রুহুল আমিন জীবন। এ ব্যাপারে রুহুল আমিন জীবনের অসহায় বাবা জহুরুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রামানিকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, সোনাতলা পৌর এলাকার আগুনিয়াতাইড় (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে মো. রুহুল আমিন জীবন গত কয়েক মাস ধরে গড়ফতেপুর গ্রামের মৃত মোজাফফর হোসেন মোল্লার ছেলে শামীম আকতার রতনের সঙ্গে ওঠাবসা করছিলেন। প্রায় ছয় মাস আগে শামীম আকতার রতন একদিন জহুরুল ইসলামের বাড়িতে এসে জানান, রুহুল আমিন জীবন তার কাছ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সুদের ওপর নিয়েছে। তার কথায় বিশ্বাস করে জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কিছু টাকা ধার-দেনা করে শামীম আকতার রতনের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করেন।
কিন্তু কিছুদিন পর শামীম আকতার রতন আবার তাদের বাড়িতে এসে বলেন, রুহুল আমিন জীবনের স্বাক্ষরিত একটি ব্যাংক চেক তার কাছে রয়েছে এবং সেটি জিম্মি করে তিনি আরো দুই লাখ টাকা দাবি করছেন। তিনি আরও হুমকি দেন যে, যদি টাকা পরিশোধ না করা হয়, তবে রুহুল আমিন জীবনকে এলাকা ছাড়া করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন। এর ফলে রুহুল আমিন জীবন, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নানা ধরনের ভয়ভীতি সহ্য করছেন।
জহুরুল ইসলাম একজন ক্ষুদ্র দোকানদার এবং তার পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। এরই মধ্যে দাদন ব্যবসায়ীর টাকার চাপ তাদের আরও অসহায় করে তুলেছে। জহুরুল ইসলাম জানান, শামীম আকতার রতন একজন খারাপ প্রকৃতির মানুষ এবং তার ভয়ে পরিবার আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এ ঘটনায় রুহুল আমিন জীবনের বাবা জহুরুল ইসলাম ১১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাতলা পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার আবু শাহিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে পৌর ইঞ্জিনিয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।