"যে তামাক গরু-মহিষ খায় না, সে তামাক মানুষ খায়" – মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
"যে তামাক গরু-মহিষ খায় না, সে তামাক মানুষ খায়," বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, তামাক চাষ কেবল মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়, পরিবেশের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। তামাক চাষের পরিবর্তে ভুট্টা চাষকে উৎসাহিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে প্রাণী ও মাছের খাবার তৈরিতে সুবিধা হবে এবং খামারিদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কে.এন.বি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও প্রান্তিক খামারিদের এক গণসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
গণসমাবেশের বিশেষ বিষয়গুলো
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ তামান্না।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ফরিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক জসিম উদ্দিন,
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম,
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাঈদ রেজা।
খামারিদের দাবী ও সমস্যা
সমাবেশে নোহালী ও আলমবিদিতর ইউনিয়নের খামারিরা তাদের বিভিন্ন দাবী তুলে ধরেন।
দুধ শীতলীকরণ কেন্দ্র স্থাপন: খামারি শাহিনুর ইসলাম এই দাবী জানান।
পানি সরবরাহ: মৎস্যজীবী ফরিদুল ইসলাম শুষ্ক মৌসুমে মৎস্য প্রকল্পে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন।
প্রশিক্ষণের সুযোগ: মুরগি খামারি রাবেয়া বেগম খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টার পরামর্শ ও আহ্বান
সমাবেশ শেষে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, “নদীর মাছ রক্ষা করতে আমাদের আরও গুরুত্ব দিতে হবে। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং তা সবার কাছে সহজলভ্য করতে হবে।”
তিনি নারী মৎস্যজীবীদের স্বীকৃতি প্রদান এবং তাদের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন। তার মতে, “যদি মৎস্যজীবীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, তবে তারা আর গরিব থাকবে না এবং দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখতে সক্ষম হবে।”
এই গণসমাবেশ প্রান্তিক খামারিদের সমস্যা চিহ্নিত করা এবং তাদের উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ বলে বিবেচিত হয়েছে।