প্রকাশিত : ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২৩:৫৬

রাণীনগরে বছরের অর্ধেক সময় শের-এ বাংলা মাঠে জলাবদ্ধতা, খেলাধুলা বঞ্চিত

উপজেলা সংবাদদাতা, রাণীনগর, নওগাঁঃ
রাণীনগরে বছরের অর্ধেক সময় শের-এ বাংলা মাঠে জলাবদ্ধতা, খেলাধুলা বঞ্চিত

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার শের-এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয় মাঠ। বছরের অর্ধেক সময় এই মাঠ জলাবদ্ধতা হয়ে পড়ে থাকে। এতে করে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থী, এলাকাবাসীসহ ক্রীড়াপ্রেমীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর মাঠের এমন দশা হলেও মাঠে মাটি ভরাট করে উঁচু করা এবং সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। ফলে বর্তমানে মাঠের প্রায় অর্ধেক অংশ জলাবদ্ধতা হয়ে পড়ে আছে।

জানা গেছে, উপজেলার সবচেয়ে বড় মাঠ রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয় মাঠটি। এই মাঠে সরকারি জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সরকারিভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলাধুলা হয়ে থাকে। স্থানীয় শিক্ষার্থীর পাশাপাশি এই মাঠে এলাকাবাসী ও ক্রীড়াপ্রেমীরা ফুটবল ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন, কাবাডিসহ নানান ধরনের খেলা করতেন। টুর্নামেন্টেরও আয়োজন করা হতো। সেই সব খেলাধুলা এখন আর হয়না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠটির একপাশে উঁচু, একপাশে নিচু। মাঠের দক্ষিণ দিকে নিচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির পানি নামার কারণে দক্ষিণ দিকে মাঠের একটি বড় অংশ পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এছাড়া মাঠটির পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই।

মহাবিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষার্থী সাজু হোসেন জানান, আমরা সহপাঠী ও বন্ধু-বান্ধব মিলে আগে প্রতিদিন মাঠে ফুটবল, ক্রিকেটসহ নানা ধরনের খেলাধুলা করতাম। এলাকার ছোট বড়রাও খেলাধুলা করতেন। গত দুই বছর হলো মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়ে গেছে।

স্থানীয় যুবক হুমায়ন কবির জানান, বছরে অর্ধেক সময়ই মাঠের দক্ষিণ দিকে গোলপোস্ট এলাকাসহ মাঠের প্রায় অর্ধেক অংশ জলাবদ্ধতা হয়ে আছে। মাঠের এই বিষয়টি মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বলার পরেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

দ্রæত রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয় মাঠটিতে মাটি ভরাট করে উঁচু করা এবং সংস্কার করে খেলাধুলার উপযোগী করে তোলার দাবি শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী ও ক্রীড়াপ্রেমীদের।

রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম বলেন, মাঠ ভরাট বা সংস্কারের জন্য আমাদের মহাবিদ্যালয়ে কোন ফান্ড নেই। মাঠে মাটি ভরাট করে উঁচু করাসহ মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে রাণীনগর শের-এ বাংলা সরকারি মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন, মাঠের বিষয়টি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই মাঠ ভরাট ও সংস্কার কাজ করা হবে।

উপরে