পাঁচবিবিতে পানিফল চাষে লাভবান কৃষক
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কৃষকের নিকট দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পানিফল চাষ। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় অন্যান্য ফসল চাষাবাদের পাশাপাশি পানিফল চাষে কৃষকের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। জলাবদ্ধ পতিত জমি, খালবিল ও ছোট আকারের পুকুরে, সুস্বাদু এসব পানিফল চাষ হয়।
উপজেলা কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা জানায়, আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে পানিফল চাষ করতে হয়। আশ্বিন মাস থেকে ফল দেওয়া শুরু হলেও মাঘ মাস পর্যন্ত উৎপাদন হয়। পানিফল দেখতে মানুষের হৃৎপিন্ড বা ত্রিভুজের মত। এর ভিতরের শাঁসগুলো সাদা নরম হয়। পানিফল কাঁচা অথবা সিদ্ধ খাওয়া যায়। উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের পাটাবুকা গ্রামের বক্করের ছেলে মারুফ হোসেন বলেন, আমার এই জমিটুকু নিচু হওয়ায় অন্য ফসল পানিতে ডুবে যায় তেমন ফসল পাই না। কয়েক বছর যাবৎ ১ বিঘা জমিতে পানিফল চাষ করি এবছরও করেছি। সুজন আরো বলেন, ১ বিঘা জমির পানিফল এবছর প্রায় ৫০’হাজার টাকার অধিক বিক্রয় করেছি। বিঘা প্রতি ২০/২৫ মন ফলন হয়। একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মতিবুল ইসলাম বলেন, ১৫’হাজার টাকায় ৩’বিঘা জমি লিজ নিয়ে পানিফল চাষ করেছি। এখন পানিফল চাষের পাশাপাশি মাছও চাষ করায় লাভ হচ্ছি এতে সংসার ভালো চলছে। বাগজানা ইউনিয়নের বাগজানা গ্রামের আদিবাসী রঞ্জিত বলেন আমি অর্ধ বিঘা পুকুরে পানিফল চাষ করেছিলাম। এতে খরচ বাদেও লাভ ভাল হয়েছে। এখন বাজারে পানি ফলের কেজি ৩০/৩৫ টাকা। ফল আহরণ এখন শেষের দিকে।
প্রান্তিক কৃষক আমেদালি মন্ডল বলেন, ধান পাট গম ভুট্টা সহ বিভিন্ন সবজি চাষে যত খরচ হয় পানিফল চাষে তেমন খরচ হয়না। খরচ কম লাভ বেশী হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক নিচু জমিতে পানিফল চাষ করছেন।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এবছর ৩ হেক্টর জমিতে পানিফল চাষ হয়েছে। অন্যান্য ফসল চাষাবাদের তুলনায় পানিফল চাষে কীটনাশক সার ও শ্রমিক খরচ কম বলেও, জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।