নিয়ামতপুরে পাওনা টাকা পরিশোধ না করে উল্টো মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিয়ামতপুরে পাওনা টাকা পরিশোধ না করে, উল্টো তার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন সুমন। বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের হলরুমে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “আমার পাওনা টাকা পরিশোধ না করে, উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন উপজেলার ভাবিচা গ্রামের ব্যবসায়ী উত্তম কুমার এবং নিড এগ্রো কোম্পানির প্রতিনিধি। তাদের যৌথ যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে প্রতারণার মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
সাখাওয়াত হোসেন সুমন উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের খোর্দ্দচম্পা গ্রামের সাবেক বিআরডিবি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে সুমন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, “২০২০ সালে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের ভাবিচা গ্রামের কীটনাশক ব্যবসায়ী উত্তম কুমারের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক হয়। ওই সময় আমাদের মধ্যে কীটনাশক পণ্য লেনদেন শুরু হয়। ২০২২ সালের জুন মাসে প্রায় ৬৫ লাখ ৮০ হাজার ৩৩০ টাকার মালামাল আমি উত্তম কুমারের কাছ থেকে বাকি রেখে কিনি। সেসময় তার সঙ্গে আমি আলোচনা করি যে, ডিসেম্বরে পাওনা টাকা পরিশোধ করতে হবে। একই সময়ে আমি উত্তম কুমারের কাছ থেকে ৩৯ হাজার ৮৪৫ টাকার মালামাল গ্রহণ করি। ডিসেম্বরে ২ তারিখে উত্তম আমার কাছে তার ৩৯ হাজার ৮৪৫ টাকা দাবি করেন। ঐ দিনই আমি তাকে ২০ হাজার টাকা ও ১৫ হাজার টাকা দুই কিস্তিতে প্রদান করি এবং হালখাতায় আমারও দাওয়াত ছিল, তবে আমি যেতে পারিনি। এরপরেও আমি যখন টাকা চাইতে গেলে, উত্তম আমাকে ঘুরিয়ে দিয়ে হুমকির সুরে বলেন, 'আমি টাকা দেব না, আপনার কিছু করার থাকলে করেন।'"
তিনি আরও বলেন, “২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আমি পাওনা টাকা চাইতে না পেয়ে নওগাঁ জজ কোর্টে মামলা দায়ের করি। উত্তম আমাকে মামলা থেকে বাঁচাতে মিথ্যে মেমো তৈরি করে, যার স্বাক্ষর আমার নেই। অথচ তার দাবির মেমোতে ক্রেতার স্বাক্ষর রয়েছে। আমি নিজে নিড কোম্পানির পরিবেশক হিসেবে কেন উত্তমের কাছ থেকে মাল নেব? উত্তম আমার পাওনা টাকা না দেওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করেছে এবং আমাকে হয়রানি করছে।”
এ সময় সাখাওয়াত হোসেন সুমন সরকারের কাছে, প্রশাসন ও আইন আদালতের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুবিচার দাবি করেন।