প্রকাশিত : ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০০:৫০

বদলগাছীতে ফুলকপির বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় আনন্দ নেই কৃষকের মনে

আব্দুল কাদের, বদলগাছী, নওগাঁঃ
বদলগাছীতে ফুলকপির বাজার মূল্য কমে যাওয়ায় আনন্দ নেই কৃষকের মনে
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর হাট হাইস্কুল মাঠে ফুলকপির বাজার। ছবি- সংবাদদাতা

শীতের সকাল চারিদিকে কুয়াশায় ঢাকা। ভোর রাতেই শীত কুয়াশা উপেক্ষা করে ফুলকপি চাষীরা নেমে পড়ে মাঠে কপি কাটতে। সকাল হলেই কাটা কপিগুলো বিক্রি করতে ছুটতে হবে বাজারে।  ভোর থেকেই কৃষকরা কপি এনে জমা করে বাজার প্রাঙ্গণে। সূর্য উঠার আগেই ফুল কপির ফুলে ভরে উঠে পুরো মাঠ। বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহকালে এমন চিত্র চোখে পড়ে নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর হাট ভান্ডারপুর হ্স্কাুল মাঠে। কপি বাজার মূল্য খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেল কৃষকের সুখ দুঃখের কথা। কৃষি প্রধান এই উপজেলায় নানা প্রকার সবজি চাষের পাশাপাশি অধিকাংশ কৃষক কমবেশী ফুলকপি চাষ করেন আবার অনেক কৃষক ব্যাণিজ্যিক  আকারে ফুলকপি চাষ করেন। চাষী জয়নাল জানায় সে ১৫ কাঠা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছে। ১৪৪ পিচ কপি বাজারে নিয়ে এসেছে। ৭ দিন পূর্বে ৫০/৬০ টাকা পিচ কপি বিক্রি করেছে। বূধবার বিক্রি হয়েছে ৩৫/৪০ টাকা পিচ। এক দিনের ব্যবধানে ভান্ডারপুর বাজারে এসে দাম করছে  ২৭/২৮ টাকা এবং তার ও কম। পারিচা গ্রামের রায়হান জানায় ২ বিঘা জমি ফুলকপি চাষ করেছে। হাটে নিয়ে এসেছে ২শ পিচ কিন্তু পরিশ্রম অনুসারে দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে।  একই কথা বললেন আরো অর্ধ শতাধীক কৃষক। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান বলেন এই উপজেলায় ১শত ৩০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষ হয়েছে। ফলন খুব ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়েছে। শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বাজারে কপির উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধি পয়েছে তাই কিছুটা বাজার মূল্য কমে গেলেও লোকসান হবে না। তাছাড়া সাধারণ ভোক্তাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

 

উপরে