আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ ।। প্রশাসন নীরব
বগুড়ার আদমদীঘিতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি খাস পুকুরের ৩১টি ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার জিনইর গ্রামের শোলাকুড়া নামক একটি খাস পুকুরের পাড় থেকে গত কয়েক দিন আগে গাছগুলি গোপনে কেটে বিক্রয় করেন তিনি। এমন অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। তাজুল ইসলাম তাজু ওই গ্রামের মৃত ইব্রাহিম আলীর ছেলে ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। এ ঘটনায় এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি প্রশাসন।
জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলা সদর ইউনিয়নের জিনইর গ্রামে শোলাকুড়া নামে ২১ শতক সরকারি একটি খাস পুকুর রয়েছে। এই খাস পুকুরে সরকারি ভাবে প্রতিবছর লীজ গ্রহন করতে হয়। গত কয়েক বছর ধরে ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম তাজু এই পুকুরটি চাষাবাদ করে আসছিলেন। গত ২৮ অক্টোবর সরকারি ডাকের মাধ্যমে পুকুরটি লীজ গ্রহন করেন ওই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি। এ কারনে ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম তাজুর লীজ বাতিল হয়। এরপর পুকুরটি তার বেহাত হয়ে যায়। এই বছরে পুকুরটি নিজ নামে লীজ নিতে না পারাই চাপাক্ষোভে ছিলেন তিনি। এরপর গত মঙ্গলবার জাল টেনে পুকুরের মাছ ধরেন তাজুল ইসলাম তাজু এবং প্রশাসনকে না জানিয়ে নিজ জায়গা দাবী করে জোরপূর্বক ৩১টি ইউক্যালেপটাস গাছ কেটে বিক্রয় করেন। এ ঘটনায় পর থেকে ওই এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম তাজু জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি ভাবে পুকুরটি লীজ গ্রহণ করে মাছ চাষ করে আসছিলাম। ওই পুকুরে আমার কিছু মাছ ছেড়ে দেওয়া ছিল তাই আমি মাছ ধরেছি। গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই পুকুরের পাশে আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি রয়েছে তাই আমি গাছ গুলি কেটেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আফরোজ জানান, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। খবর নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।