রায়গঞ্জে সরকারি রেটের চেয়ে বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান-চাল সংগ্রহে বিপাকে প্রশাসন
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে দেখা দিয়েছে জটিলতা। হাট-বাজারে ধান ও চালের বাজারমূল্য সরকারি রেটের তুলনায় বেশি হওয়ায় কৃষক ও মিলাররা গুদামে ধান ও চাল সরবরাহ করতে আগ্রহী নন।
উপজেলা খাদ্যগুদাম সূত্রে জানা গেছে, সরকারি ভাবে রায়গঞ্জে আমন মৌসুমে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১,৩৮১ মেট্রিক টন এবং চালের লক্ষ্যমাত্রা ৪,৯৩৯ মেট্রিক টন। তবে ধান কেজিপ্রতি ৩৩ টাকা এবং চাল ৪৭ টাকা কেজি দরে ক্রয় করার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বাজারে এর মূল্য অনেক বেশি হওয়ায় সংগ্রহ ব্যাহত হচ্ছে।
একজন কৃষক বলেন, “বর্তমান বাজারে মোটা ধান প্রতি মণ ১,৬০০ থেকে ১,৬৫০ টাকায় এবং চিকন ধান ১,৭৫০ থেকে ১,৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিকন চাল প্রতি কেজি ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি রেটে ধান বা চাল বিক্রি করা সম্ভব নয়।”
ধান ও চাল সরবরাহে এ অচলাবস্থা নিয়ে চান্দাইকোনা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত মাত্র ১,২০০ টন চাল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, তবে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু করা যায়নি। কৃষক ও সরকারি বরাদ্দপ্রাপ্ত মিলারদের ধান ও চাল সরবরাহ করতে উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, “বাজারের তুলনায় সরকারি রেট কম হওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান ও চাল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে। এ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকারি সংগ্রহ নীতির মধ্যে এই বৈষম্য খাদ্যগুদামের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষক ও মিলাররা।