প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:১০
মহাদেবপুরে চিনি আতব ধানের ফলন ও ভালো দামে খুশি কৃষক
গৌতম কুমার মহন্ত, মহাদেবপুর, নওগাঁঃ
পাইকারী আড়দে ধানের কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। ছবিটি শনিবার মহাদেবপুর, নওগাঁ হাট থেকে তোলা। - ছবি- গৌতম কুমার মহন্ত/চাঁদনী বাজার
নওগাঁর মহাদেবপুরে চলতি মৌসুমে চিনি আতব ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের ফলন ও দাম ভালো পেয়ে খুশি কৃষকরা। এ ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক-কৃষানিরা। চলতি মৌশুমে এ ধান চাষে আবহাওয়া অনুকূল থাকাসহ সরকারি ভাবে কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রনোদনা প্রদান করায় বাম্পার ফলন হয়েছে বলে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর জানায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১০ হাজার ৬ শ’ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের চিনি আতব ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এ জমি থেকে ৩৪ হাজার ৯৮০ মেট্রিক টন চিনি আতব ধান এবং এ ধান থেকে ২৩ হাজার ৩২০ মেট্রিক টন চিনি আতব চাল উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের চককামাল গ্রামের কৃষক রোকনজ্জামান সোহেল বলেন, এ বছর তিনি ২৪ বিঘা জমিতে চিনি আতব ধান চাষ করেছেন। তার চাষকৃত জমিতে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৪ মন চিনি আতব ধান ফলন হয়েছে। ধানের ফলন হওয়ায় খুশি তিনি। শিবরামপুর গ্রামের কৃষক আবদুল জববার চলতি মৌসুমে ৫ বিঘা ও মাদ্রাসা মোড়ের আবদুল হাকিম ৪ বিঘা এবং জয়পুর গ্রামের কৃষক জহুরুল ইসলাম ২ বিঘা জমিতে চিনি আতব ধান চাষ করেছেন। তারা জানান, তাদের জমিতে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৩ মন চিনি আতব ধানের ফলন হয়েছে। ধানের ভালো ফলন ও বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় খুশি তারা। গতকাল ২১ ডিসেম্বর শনিবার উপজেলা সদরের ধানের হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি মন চিনি আতব ধান ২ হাজার ১০০ টাকা ২ হাজার ২০০ টাকা মন দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ১ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিমন ধানের দাম ১০০ টাকা বেড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ জানান, অনুকূল আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় এবার চিনি আতব ধানের ফলন ভালো হয়েছে, এ অঞ্চলের চিনি আতব ধানের মান ভালো হওয়ায় দেশব্যাপী এর ব্যপক চাহিদা রয়েছে, এ ছাড়াও এ এলাকার চালের চাহিদা রয়েছে মধ্যপাচ্যের দেশগুলোতে