আধুনিক পশুখাদ্য নিয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলছে আকিজ এগ্রো ফিড
দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও কৃষি উদ্যোক্তাদের কল্যাণে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সেরা মানের ফিড বাজারে এনেছে আকিজ এগ্রো ফিড লিমিটেড। সম্প্রতি রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই পণ্যগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
‘রেজাল্ট হিট’ স্লোগানের আওতায় যুগান্তকারী উদ্যোগ
ইউরোপিয়ান প্রযুক্তি ব্যবহার করে আকিজ এগ্রো ফিড এমন পশুখাদ্য তৈরি করেছে যা গবাদি পশু, পোল্ট্রি ও মাছ চাষে উৎপাদনশীলতার নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। মানব হস্তক্ষেপহীন এই প্রযুক্তি দেশের কৃষি খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেয়াজুল হক। এছাড়া, আকিজ রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শেখ জসিম উদ্দিন, চেয়ারম্যান ফারিয়া হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান এ. কে. জোয়াদ্দার এবং আকিজ এগ্রো ফিড লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী এ. টি. এম. হাবিব উল্লাহসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে তৈরি ক্যাটালগ ফিড
আকিজ এগ্রো ফিড ৫৮টি এসকিউও নিয়ে বাজারে এসেছে। এতে পোল্ট্রি ফিড (ব্রয়লার, লেয়ার, কক ফিড), গবাদি পশুর জন্য ডেইরি ও বিফ ফিড এবং মাছের জন্য ফ্লোটিং, চিংড়ি ও সিংকিং ফিড অন্তর্ভুক্ত। এসব পণ্য বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তৈরি যা চাষের উন্নত স্বাস্থ্য ও উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করবে।
অতিথিদের বক্তব্য
আকিজ রিসোর্সের সিইও শেখ জসিম উদ্দিন বলেন, “আমাদের ফিড কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য আশাব্যঞ্জক হবে। ‘রেজাল্ট হিট’ স্লোগানের সার্থকতা বজায় রাখতে আকিজ এগ্রো ফিড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
চেয়ারম্যান ফারিয়া হোসেন বলেন, “গুণগত মানই আমাদের শক্তি। আকিজ সবসময় মানের বিষয়ে আপসহীন। আকিজ এগ্রো ফিড কৃষকদের জীবনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।”
ভাইস চেয়ারম্যান এ. কে. জোয়াদ্দার ও প্রধান নির্বাহী এ. টি. এম. হাবিব উল্লাহ বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণা, সচেতনতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে আকিজ এগ্রো ফিডের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
উপস্থিতদের প্রতিক্রিয়া
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃষি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তারা আকিজ এগ্রো ফিডের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আকিজ এগ্রো ফিড দেশের প্রাণিসম্পদ খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং কৃষকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
আকিজ এগ্রো ফিডের এই নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশের কৃষি খাত ও জাতীয় অর্থনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।