গাবতলীতে এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু
বগুড়ার গাবতলীতে মুন্নী বেগম (২১) নামের এক সন্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ মৃত্যু নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেউ বলছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আবার কেউ বলছে, গৃহবধূ মুন্নী বেগম পারিবারিক কলহের জের ধরে আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। গতকাল রোববার সকালে পৌরসভাধীন ৪নং ওয়ার্ডের সোন্দাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
একাধিকসূত্রে জানা গেছে, গাবতলী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সোন্দাবাড়ী গ্রামের আজাহার মোন্নার ছেলে সাগর মোন্নার (২৪) সাথে গত তিনবছর আগে পারিবারিক প্রস্তাবে পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডের খলিসাকুড়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে মুন্নী বেগমের বিয়ে হয়। স্থানীয়রা জানায়, বিয়ের পর থেকে স্বামী-শাশুড়ীর সাথে মুন্নী বেগমের ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। স্বামী ও শাশুড়ীর অত্যাচার সইতে না পেরে মুন্নী বেগম গত ২মাস আগে পিত্রালয়ে চলে যায়। কিন্তু অন্যায়-অত্যাচার আর করবে না-এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গত ৯দিন আগে মুন্নী বেগমকে ফেরত নিয়ে আসে তার স্বামী-শাশুড়ীরা। এরই এক পর্যায়ে গতকাল সকালে মুন্নী বেগম ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালানো হয়। খবর পেয়ে মডেল থানার এসআই শামীম, আ: খালেক, জয়দেবসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গেলে স্বামীসহ শশুর বাড়ীর লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী এসআই শামীম জানান, গৃহবধূ মুন্নী বেগমের মরদেহ গাবতলী হাসপাতালে পাওয়া গেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে মুন্নী বেগমের মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে লাশের ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।