প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০০:১৭

নাগেশ্বরীতে চরাঞ্চলে কালাই কাটামারীতে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী

উপজেলা সংবাদদাতা, নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রামঃ
নাগেশ্বরীতে চরাঞ্চলে কালাই কাটামারীতে ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চলে পরিত্যক্ত জমিতে কালাই চাষে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কালাই চাষের ৭৫ দিনের মাথায় ফসল ঘরে তোলার সময় কৃষক-কৃষাণীরা এখন গরু দিয়ে কাটা মাড়াইসহ অন্যান্য কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বিশেষ করে নারায়নপুর, ঝাউকুটির চর, কালার চর, চর কাপনা, নুনখাওয়া, ফকিরগঞ্জ, কালিগঞ্জ, বল্লভেরখাস, এবং ১৪ ঘুরির চর-সহ বিভিন্ন চরে মাসকালাই ও মুশুরির মতো বিভিন্ন জাতের কালাইয়ের ভালো ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মণ পর্যন্ত কালাই উৎপাদিত হয়েছে, যা বাজারে প্রতি মণ ৬ হাজার থেকে সাড়ে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাষিদের উচ্ছ্বাস

পরিত্যক্ত জমিতে কম খরচে ভালো ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণীরা দারুণ খুশি। চরাঞ্চলে কালাই চাষ এখন প্রধান ফসল হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। চাষিরা জানিয়েছেন, এ ধরনের ফসল চাষে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে তাঁরা আরও আগ্রহী হবেন।

সরকারি সহায়তা ও উদ্যোগ

নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহরিয়ার হোসেন জানান, এ বছর চরাঞ্চলে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমিতে কালাই চাষ করা হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের জন্য পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন,

"কালাই চাষের মাধ্যমে চরাঞ্চলের কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। তাদের এই উদ্যোগ ধরে রাখতে ও উৎপাদন বাড়াতে আমরা সবসময় পাশে থাকবো।"

চাষাবাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

চরাঞ্চলে কালাই চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় কালাইয়ের উৎপাদন খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় এটি কৃষকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। সরকারি সহযোগিতা পেলে চাষের পরিমাণ আরও বাড়ানো সম্ভব বলে মত দিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এবারের বাম্পার ফলন শুধু স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল রাখবে না, বরং চরাঞ্চলের কৃষকদের জীবনে আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উপরে