পাবনার সাঁথিয়ায় স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ উত্তোলন
স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে নিহত পাবনার সাঁথিয়ার জুলকার নাইনের (১৭) মরদেহ মৃত্যুর ১৪০ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে জুলকারের মরদেহ উপজেলার জোরগাছা স্বরুপ পারিবারিক কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনার পটভূমি
গত ৫ আগস্ট, ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত হন জুলকার। সাভারের আশুলিয়া থানায় এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
জুলকার নাইন সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আব্দুল হাই আলহাদীর ছেলে। তিনি ঢাকার সাভারের পলাশবাড়ী জে.এল মডেল স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
ঘটনার দিন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার খবরে আশুলিয়ার বাইপাইলে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর গুলিতে জুলকার নিহত হন।
দাফন ও মরদেহ উত্তোলন প্রক্রিয়া
ঘটনার পরের দিন (৬ আগস্ট), ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ সাঁথিয়ায় নিজ গ্রামে আনা হয় এবং জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান জানান, আশুলিয়া থানায় দায়ের করা হত্যা মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয়
* জুলকার নাইন ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।
* তার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে দীর্ঘসূত্রিতা ও ময়নাতদন্ত না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছিল।
* অবশেষে, ১৪০ দিন পর ময়নাতদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনা পুনরায় আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানানো হচ্ছে।