মাধবদীতে জমি বিরোধের জেরে হামলার শিকার পরিবার, থানায় বিচার না পাওয়ার অভিযোগ
নরসিংদীর ছোট মাধবদী এলাকায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা বিরোধের জেরে ফারুক নামে এক ব্যক্তির পরিবার হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে। ফারুক মিয়ার অভিযোগ, হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানালেও বিচার পাননি।
ঘটনার বিবরণ:
সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৮ নভেম্বর সকালে আলতাফ বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হন ফারুক মিয়ার স্ত্রী নার্গিস আক্তার। তার বড় ছেলে জোবায়ের মাকে বাঁচাতে গেলে রক্তাক্ত জখম হন। অভিযোগ অনুযায়ী, আলতাফ গংরা নার্গিস আক্তারকে ঘরে বন্দি করে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং হত্যার চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফারুকের পরিবারের অন্য সদস্যরাও হামলার শিকার হন।
জোবায়ের বলেন, "আমার মাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তারা কোরবানির ছুরি নিয়ে এগিয়ে আসছিল। আমরা দেয়াল টপকে তাদের ঘরে ঢুকি, তখন আমাদের উপর হামলা করা হয়। আমার মাথায় আঘাত করা হয় এবং মা সহ পরিবারের সবাইকে আহত করা হয়।"
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে এবং ফটকেও পুনরায় হামলার শিকার হন তারা।
বিরোধের পেছনের কারণ:
ফারুক মিয়ার দাবি, তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে রেখেছে আলতাফ হোসেন। ২০১৯ সালে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় ফারুকের জমি জোরপূর্বক দখল করেন তিনি। এরপর থেকে জমি নিয়ে বিরোধ চলতে থাকে। হামলার ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী নার্গিস আক্তার, ছেলে জোবায়ের, রিফাত, এবং সাত বছরের মেয়ে ফারিয়া আক্তার আহত হন।
ফারুক অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ দিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, বরং আলতাফ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আলতাফের বক্তব্য:
অভিযুক্ত আলতাফ হোসেন দাবি করেন, "জমিটি আমার ক্রয় করা সম্পত্তি। ফারুক আমাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায় এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। বিষয়টি থানায় জানিয়েছি।"
থানার প্রতিক্রিয়া:
মাধবদী থানার সদ্য যোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, তিনি বিষয়টি জানেন না। তবে দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
ভুক্তভোগীর দাবি:
ফারুক মিয়া ও তার পরিবার প্রশাসনের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন।