১ খুন লুকাতে আরও ৬ খুন করেন ইরফান। সারবহনকারী জাহাজে ৭ জন খুনের ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন
সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাতজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী জাহাজে কর্মরত আকাশ মণ্ডল ইরফান।
ঘটনার কারণ:
র্যাবের তথ্যমতে, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কর্মীদের বেতন না দিয়ে এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। এই ক্ষোভ থেকে ইরফান এই নৃশংস কাজ করেন।
খুন হওয়া ব্যক্তির তালিকা:
১. মাস্টার গোলাম কিবরিয়া
২. গ্রিজার সজিবুল ইসলাম
৩. লস্কর মাজেদুল ইসলাম
4. শেখ সবুজ
৫. আমিনুর মুন্সী
৬. ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন
৭. বাবুর্চি রানা কাজী
আহত ব্যক্তির নাম: সুকানি জুয়েল
হত্যাকাণ্ডের প্রস্তুতি:
১৮ ডিসেম্বর, ইরফান পাবনার এক বাজার থেকে ঘুমের ওষুধের ৩ পাতা সংগ্রহ করেন।
জাহাজের নিরাপত্তার জন্য থাকা চাইনিজ কুড়াল ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেন।
হত্যাকাণ্ডের কারণ ও ধরণ:
প্রাথমিক তদন্তে ইরফান স্বীকার করেছেন, প্রথমে মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাকে হত্যা করার সময় বাকিরা দেখে ফেলতে পারে এবং পালানোর সমস্যা হবে, এই ভয় থেকেই ইরফান জাহাজে থাকা সবাইকে হত্যা করেন।
মৃতদের পরিবারের সহায়তা:
নিহতদের পরিবারের কাছে মঙ্গলবার বিকেলে লাশ হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন এবং নৌপুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকার চেক এবং নৌপুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
র্যাবের প্রতিশ্রুতি:
র্যাব জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পেছনের সব তথ্য নিশ্চিত করতে তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। ইরফানের দেওয়া প্রাথমিক স্বীকারোক্তি ও ঘটনার আলামত এরই মধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।