‘বিলাস দাদার’ নামে চাঁদাবাজি, গুলশানে আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার ৭

রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ঘটনার বিবরণ:
ডিএমপির গুলশান থানার তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে ‘রোজ উড রেসিডেন্স লিমিটেড’ নামের গুলশান-২ এলাকায় অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেলে ১০-১২ জন লোক প্রবেশ করে। তারা নিজেদের ‘বিলাস দাদার লোক’ পরিচয় দিয়ে হোটেলের স্টাফদের কাছে চাঁদা দাবি করে এবং চাঁদা না দিলে হোটেল ভাঙচুর করার হুমকি দেয়।
পরদিন দুপুরে হোটেলের ম্যানেজার মো. ফরাদুজ্জামান একটি অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন পান। কলকারী নিজেকে বিলাস দাদা পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদাবাজির চাপ বাড়ে:
২৭ ডিসেম্বর রাতে ২৫-৩০ জন লোক হোটেলে ঢুকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। হোটেলের স্টাফরা অস্বীকৃতি জানালে তারা অতিথিদের হয়রানি এবং হোটেল ভাঙচুরের হুমকি দেয়।
হোটেল মালিক মেহেদী হাসান তুষার তাৎক্ষণিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন। গুলশান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
গ্রেপ্তার ও মামলা:
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চাঁদাবাজ দলের সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের কাছ থেকে দুটি সুজুকি ও একটি টিভিএস ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল জব্দ করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে হোটেল মালিকের অভিযোগে গুলশান থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
চাঁদাবাজির ঘটনায় সরাসরি বিলাস দাদার নাম উল্লেখ করা হলেও তিনি এখনও পলাতক।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনায় আরও জড়িতদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এই ঘটনা রাজধানীর অভিজাত এলাকাগুলোতে চাঁদাবাজির ভয়াবহতা এবং এর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের উদাহরণ।